জায়েদ অনেক মেয়ের সংসার ধ্বংস করেছে: সানী

স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে বিরক্ত করায় চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন অভিনেতা ওমর সানী।

অন্যদিকে, জায়েদও তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বললেন সানী। জানালেন, জায়েদ খান শুধু মৌসুমীকেই নয়, অনেক মেয়েকে বিরক্ত করে। তার কারণে অনেকের সংসারও ভেঙেছে। 

ওমর সানী বলেন, ‘সে (জায়েদ খান) দীর্ঘদিন ধরে আমার বউকে ডিস্টার্ব করছে। আমাদের বিভিন্ন কাজেও বাগড়া দিয়ে আসছে। আমাদের অনেক কাজই সে বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমি চুপ ছিলাম, মাটির দিকে তাকিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে।’

জায়েদ সম্পর্কে সানী বলেন, ‘ওর নামে বহু অভিযোগ আছে। সে অনেক সংসার ধ্বংস করেছে। তার পিস্তল বের করে চলাচল করা, কত মেয়েদের পেছনে লেগেছে। এমন বহু অভিযোগ আছে। এটা কি নতুন কিছু তার জন্য? জায়েদ খানের এই ধরনের অভিযোগের গাছের বয়স তো প্রায় ৪ হাজার বছর!’

অন্যদিকে জায়েদ খান বিস্ময় প্রকাশ বলেন, ‘এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি, নির্বাচনের রায় সামনে রেখে এমন করা হচ্ছে। আর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে পিস্তল নিয়ে যাওয়া যায় নাকি! আমি বিয়ের দাওয়াতে পিস্তল নিয়ে যাবো কেন? আর ওমর সানী আমাকে চড়ও দেয়নি।’

সানীর অভিযোগ প্রসঙ্গ তুললে তিনি প্রমাণ উপস্থাপনের দাবি জানান। 

আর প্রমাণের বিষয়ে সানী বলেন, ‘যা আছে তা আমি সময় মতোই দেখাবো। শুধু আমার কাছে নয়, ছেলের কাছেও প্রমাণ আছে। এই মুহূর্তে আইনি কোনও পদক্ষেপের কথা ভাবছি না। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার মুরুব্বিদের (চলচ্চিত্র অঙ্গনের) সঙ্গে কথা বলবো। দেখি তারা কী করেন। আমি চলচ্চিত্রের মানুষদেরই প্রথম পরিবার মনে করি। তাই প্রথমে তাদের কাছে বিচার চাইবো, এরপর অন্যকিছু।’ 

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন ওমর সানী। এর বিপরীতে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন জায়েদ খান! তবে এ ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করেছেন জায়েদ। 

জানা যায়, ওমর সানীর স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে বিরক্ত করায় ক্ষুব্ধ সানী অভিনেতা জায়েদকে ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে চড় মেরেছেন।