বাজে মন্তব্য করলে আমাকে করুন, মৌসুমীকে নিয়ে নয়: সানী

চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ ওমর সানী ও জায়েদ খানের লড়াই এখন স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। মৌসুমীর বক্তব্যে স্পষ্টতই তাদের দাম্পত্য কলহের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে আপাতত মৌসুমীকে নিয়ে অসম্মানের কোনও কথা বলতে চান না সানী।

মুঠোফোনে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার পরিবার, মৌসুমী, ছেলে-মেয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলবো না। তার (মৌসুমী) সঙ্গে কিছুদিন ধরে কথা হচ্ছে না। আমি কী বলেছি, না বলেছি তা ফারদিন ও ফাইজার (ছেলে-মেয়ে) কাছে আছে। তারা বলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৭ বছর ধরে শ্রদ্ধা করে এসেছি এবং বাংলাদেশের মানুষও জানে। আমার ব্যাডলাক যে ২৭ বছর পরে এসে এমনটা প্রকাশ্যে এলো। যাই হোক, আমি যে কথাগুলো জায়েদ খান সম্পর্কে বলেছি, তাকে আমি অটল আছি। আমি বারবার একটা কথায় বলেছি আমার এবং আমার ছেলে ফারদিনের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যাভিডেন্স আছে। তার মাকে নিয়ে তার সন্তানেরা কথা বলবে। আমি বলবো না। মৌসুমী এখনও আমার স্ত্রী। সে আমার সন্তানের মা। আমি শ্রদ্ধার জায়গাটা নষ্ট করবো না। আমার অভিভাবক হিসেবে আমি আমার ছেলে-মেয়েকে মেনে নিলাম। তারা যা বলবে তাই আমি করবো। আমার পরিবারের ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। মৌসুমীর ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। বাজে মন্তব্য করলে আমাকে নিয়ে করুন, মৌসুমীকে নয়।’

সাম্প্রতিক ঘটনার সূত্রপাত মুভিলর্ড-খ্যাত অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ওমর সানী সপাটে চড় মেরেছেন জায়েদ খানকে। অভিযোগ আছে, জায়েদ খানও পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, গত চার মাস ধরে জায়েদ মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছে। 

শনিবার (১১ জুন) রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পরদিন (১২ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন ওমর সানী।

সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্রে ওমর সানী বলেন, ‘আমি ওমর সানী এই সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সমিতির সদস্য জায়েদ খান গত চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয় করার চেষ্টা করে আসছে।’

কিন্তু আজ (১৩ জুন) মৌসুমী দাবি করেন, জায়েদ খান তাকে সম্মান করেন এবং তিনি বেশ ভালো মানুষ। বিরক্ত বা উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটেনি। এটা সানী ও মৌসুমীর ব্যক্তিগত বিষয়।