‘কাজটি করার জন্য অনুদানটা খুব দরকার ছিল’ 

২০২১-২২ অর্থবছরের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি অনুদান। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অঙ্কটা (৭০ লাখ) যাচ্ছে প্রশংসিত নির্মাতা-প্রযোজক মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের কাছে। সেই সুবাদে এই নির্মাতার ফ্রেমে এবার ধরা দেবেন নাটোরের বনলতা সেন! ছবির নামটাও তাই, ‘বনলতা সেন’। 

ছবিটি নির্মাণের জন্য অনুদান পেয়ে সন্তুষ্ট উজ্জ্বল। বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘এই কাজটি করার জন্য সরকারি অনুদানটা খুব দরকার ছিল। এটা এক ধরনের আত্মবিশ্বাস জোগায়।’

কবিতার বনলতাকে নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করা প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন আমার কাছে বরাবরই একটি অধরা চরিত্র। যাকে কেবল কল্পনা করা যায়, অবয়ব দেওয়া যায় না। ফলে বনলতাকে খুঁজে পাওয়ার এক ধরনের আজন্ম অন্বেষণ রয়েছে আমার। সেই অন্বেষণ থেকেই এই চিত্রনাট্য লেখা। গল্প হিসেবে এটি মৌলিক, কিন্তু অনুপ্রেরণা জীবনানন্দ দাশের কবিতাটি।’
 
ছবিটির চিত্রনাট্য শেষ, অনুদানও মিললো- এবার শুটিংয়ে নামার পালা। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-খ্যাত এই নির্মাতা জানান, অচিরেই প্রি-প্রোডাকশনের কাজে হাত দেবেন। কালজয়ী কবিতা থেকে সিনেমার ফ্রেমে বনলতাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা চালাবেন সর্বোচ্চ। সেই চেষ্টায় দারুণ সমর্থন জোগাবে অনুদান থেকে পাওয়া ৭০ লাখ টাকা।

উজ্জ্বল বলেন, ‘‘চলচ্চিত্র আমার জীবন, কিন্তু জীবিকা নয়। সে কারণেই আমাকে কোনও ধরনের আপস করে ছবি বানাতে হয় না। তাই নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ‘বনলতা সেন’ নির্মাণ করতে চাই। আশা করছি অচিরেই প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করবো।’’

আজ (১৫ জুন) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ৬০, ৬৫, ৭০ ও ৭৫ লাখ করে মোট ১৯ জনকে সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে। ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১০টি চলচ্চিত্রের প্রতিটি অনুদান হিসেবে পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা করে। ৪টি চলচ্চিত্রের প্রতিটি ৬৫ লাখ টাকা করে। ৭০ লাখ করে পেয়েছে ৪টি চলচ্চিত্র। এবার সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।