ভাঙেনি বিটিএস

বিটিএস আর্মিদের মনে বুধবার (১৫ জুন) থেকে এক অসম্ভব দোলাচল বিরাজ করছিল! যেন চোখের জলে ভাসছিলেন তারা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর ‘ভেঙে গেছে বিটিএস’। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউনও। যদিও পরে জানা যায় আসলে ভাঙেনি বিটিএস। একাধিক ইন্ডিপেনডেন্ট ফ্যাক্ট চেকারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ভেঙে যাওয়ার গুজবে বিটিএস ব্যান্ডের স্বত্ত্বাধিকারী হাইব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিটিএস কোনও বিরতি নিচ্ছে না । এই মুহূর্তে সদস্যরা নিজেদের ব্যক্তিগত প্রজেক্টে বেশি মনোনিবেশ করবেন।

কোরিয়ান মিউজিকের দুনিয়ায় বিটিএস অনন্য। শুধু কোরিয়া নয়, বিশ্ব মিউজিকে তারা ভিন্ন নজির গড়েতে সক্ষম হয়েছে। তাদের গ্লোবাল ফ্যান ফলোয়িং কিংবা মিউজিকের সঙ্গে তুলনা হয় না কারোরই। বুধবার সন্ধ্যাবেলা ফিসটা ডিনারের সময়ই তারা চমকে দেন সবাইকে।

জানানো হয়, তারা একেবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন না বরং নিজেদের সোলো মিউজিকের প্রতি আরও বেশি করে মনোযোগ দেবেন। কিছুদিন মঞ্চে একসঙ্গে পারফর্ম করবেন না। আর নিজেদের এত বছরের জার্নি ব্যাখ্যা করতে গিয়েই চোখের জল ফেললেন লিডার আরএম। তার বক্তব্য, ‘‘ডায়নামাইট’ রিলিজের পর থেকেই কেমন যেন সবকিছু আলগা হতে শুরু করলো। গ্রুপের ছন্দ এখন অনেকটা আলাদা।’’

আর্মিদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘‘কখনোই ভাববেন না যে বিটিএস নেই! আমরা সবসময় বিটিএস আছি আর থাকবো। আমরা মনে প্রাণে এক থাকতে চাই। প্রতিবার যখন গান লিখতাম বা সুর করতাম তখন মনে হতো ভালো একটা মেসেজ দিতে হবে। সেটাই চেষ্টা করতাম, তবে ‘পারমিশন টু ড্যান্স’ রিলিজের পরেই যেন সবকিছু বদলে গেল। গানের মাধ্যমে একটা স্পেশাল মেসেজের বিষয়টা এখন হারিয়ে গেছে। আমরা আমাদের দিক হারিয়েছি, ফিরতে একটু সময় লাগবে! তবে কথা দিচ্ছি ফিরবো।’’

বিটিএসের আরেক সদস্য জে-হোপ বলেন, ‘আমাদের এখন আলাদাভাবে সময় কাটাতে হবে। শিখতে হবে কীভাবে আবার একত্র হওয়া যায়। আশা করি, আপনারা এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখবেন না।

এরপরই গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিটিএস ভেঙে যাচ্ছে।

অবশ্য বিটিএস অফিসিয়াল সূত্রে খবর, তারা নতুন চ্যাপ্টার নিয়ে মন জয় করতে চান সবার। স্টেজে একসঙ্গে তারা খুব শিগগিরই ফিরবেন।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্র ধরে বিটিএস ভাঙছে এমন খবর প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউন। যদিও পরবর্তীতে ইনডিপেনডেন্ট ফ্যাক্ট চেকার ফ্যাক্ট ওয়াচের একটি পর্যবেক্ষণে ওই খবরটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। ফলে প্রতিবেদনের শিরোনাম ও বিস্তারিত তথ্যে সংশোধন এনেছে বাংলা ট্রিবিউনও।