দেশের অন্যতম নাট্যকারদের নিয়ে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। যা সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না। তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, কেন এই ‘হঠাৎ’ মতবিনিময়!
তবে এতে অংশ নেওয়া একাধিক নাট্যকারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিষয়টিতে নেতিবাচক কিছু নেই। বরং বিটিভি তথা টিভি নাটকের মান উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যেই এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখান থেকে দুই পক্ষই কিছু পজিটিভ দিকনির্দেশনা পায়।
নাট্যকারদের সঙ্গে ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, উপমহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ, ঢাকা কেন্দ্রের জি এম নাসির মাহমুদ, নূর আনোয়ার হোসেন, মাহবুবা ফেরদৌসসহ বিটিভির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নাট্যকারদের সঙ্গে বিটিভিতে এই মতবিনিময়ের কারণ প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ‘দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম নাটক। মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারসহ সকল কর্মকাণ্ড নাটকের মাধ্যমে উঠে এসেছে। বিটিভিতে দিনে দিনে নাটকের প্রচার সংখ্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এই মতবিনিময়।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক হারুন রশীদ। তিনি নাটকের ব্র্যান্ডিং বাড়ানোর পাশাপাশি সেট নির্মাণে আরও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। বিটিভির পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ নাটকের চিত্রনাট্য ও শিল্পী নির্বাচন কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে বিটিভির নাটক আরও বেশি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে- এসব ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করতে নাট্যজনদের আহ্বান জানান।
নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘নাটককে শিল্পর দিকে ধাবিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভালো গল্প, কাস্টিং, এডিটিং, প্রমোশন জরুরি।’
ভালো মানের নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এসব নাটকের প্রমোশনের দিক আরও জোরদার করার পরামর্শ দেন নাট্যকার মাসুম রেজা।