পূর্ণিমার বিয়ের খবরে বাপ্পি: একবার বলে যাও কেন আমার হলে না

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে পূর্ণিমার হঠাৎ আলোয় আলোকিত হয়ে উঠলো ঢাকা টকিজ। এই আলো বিস্ময়ের কিংবা সারপ্রাইজের। তবে ঢাকাই ছবির অন্যতম নায়ক বাপ্পি চৌধুরীর কাছে খবরটি বিরহের আলো হিসেবেই ধরা দিলো!

পূর্ণিমার বিয়ের হঠাৎ খবরে তিনিও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সোশাল হ্যান্ডেলে। যে প্রতিক্রিয়ার রেশ ধরে জনমনে সৃষ্টি হলো নতুন গুঞ্জন। তবে কি পূর্ণিমা-বাপ্পির মধ্যে সম্পর্ক ছিল? তবে সে উত্তর খোঁজার আগে জেনে নেওয়া যাক কী ছিল প্রতিক্রিয়াটি।

বাপ্পি নবদম্পতির ছবি পোস্ট করে একটি জনপ্রিয় বিচ্ছেদী গানের ছয়টি লাইন তুলে ধরেছেন। কথাগুলো এমন- ভাবিনি কখনও যাবে চলে/ এভাবে আমাকে একা ফেলে/ স্বপ্ন নিজের হাতে ভাঙলে তুমি/ একা কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত আমি/ প্রতিশোধ নেবে নাও আমি বাধা দেবো না/ একবার বলে যাও কেন আমার হলে না।

এরপরই বিরহের ইমো দিয়ে লিখলেন- তবু কনগ্রেচুলেশন!

বাপ্পির এমন প্রতিক্রিয়া মুহূর্তেই ভাইরাল হলো সোশাল হ্যান্ডেলে। প্রশ্ন জাগলো, তবে কি তাদের মধ্যে কিছু চলছিল! জবাবে বাপ্পি বললেন, ‘আমরা একসঙ্গে চলারই সুযোগ পাইনি। মন দেওয়া-নেওয়ার সুযোগ পেলাম কই! হ্যাঁ, তিনি আমার পছন্দের নায়িকা। আফসোস, আমরা একসঙ্গে একটি মুভিও করতে পারিনি।’

তবে কী পর্দায় নায়িকা হিসেবে পাননি বলেই এই বিরহ প্রতিক্রিয়া? বাপ্পির ভাষ্য, ‘পর্দার আশা এখনও মরে যায়নি! বিয়ে মানেই তো শেষ নয়। বরং নতুন করে শুরু। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক সেই প্রত্যাশা করি। আর স্ট্যাটাস দিয়েছি হৃদয় থেকেই। আপু তো আমার ক্রাশ।’

বাপ্পি চৌধুরী পূর্ণিমাকে লক্ষ্য করে দেওয়া এই কথাগুলো নিয়েছেন ইথুন বাবুর কথা-সুরে সুপারহিট গান আসিফের গাওয়া ‘ও প্রিয়া’ থেকে।

এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই পূর্ণিমার জন্মদিনে তাকে উইশ করেছিলেন বাপ্পি। বলেছিলেন, ‘আপনি আমার ক্রাশ। এজন্য এখনও বিয়ে না করে আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। শুভ জন্মদিন পূর্ণিমা আপু।’

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতের খবর- ফের বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। পাত্র আশফাকুর রহমান রবিন, পেশায় দেশের বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা। গত ২৭ মে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।