এর আগে এই অভিনেতা ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি থাকলেও সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে নিজ বাসায় ফিরে যান।
এভাবে এ শিল্পীর চিকিৎসা থেমে গেছে- এমন খবর পেয়ে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে খবরটি পান। সঙ্গে সঙ্গে কার্যালয়ের পরিচালক ডাক্তার জুলফিকার লেলিনকে খবর নিতে বলেন। ঢাকা মেডিকেলে খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, ফরিদ আলীকে তার পরিবারের সদস্যরা একরকম নিরুপায় হয়ে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। কারণ ঔষধ কেনা ও হাসপাতালে থাকার মতো ন্যুনতম পয়সাও তার পরিবারে কাছে নেই। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফরিদ আলীর বাসা থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে। আজ (সোমবার) থেকে তিনি সেখানে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। যার পূর্ণ ব্যয়ভার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বহন করবেন।’
গত ১৫ জানুয়ারি পুরান ঢাকায় এই জনপ্রিয় অভিনেতা হার্টঅ্যাটাক হলে তাকে প্রথমে নিকটস্থ ওয়ারী ডায়াবেটিকস হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিন দিন থাকার পর চ্যানেল আইয়ের সহযোগিতায় তাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। টাকার সমস্যা দেখা দিলে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
ফরিদ আলী কৌতুক অভিনয়ে দর্শক মনে এখনও দাগ কেটে রয়েছেন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকব না’ এই সংলাপটির সঙ্গে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম। শুধু অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত এই শিল্পী। ৭৫ বছর বয়সী ফরিদ আলী পুরনো ঢাকার ঠাটারি বাজারের বাসিন্দা। গত ঈদে তিনি আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘পূর্ণিমার চাঁদে মেঘ’ নাটকে অভিনয় করেছেন।
/এমএম/এম/