মামানামা-আউট অব দ্য বক্স

অকপট হাবিব: ‘নিজের কণ্ঠ-সুরে কিছুটা বিরক্ত আমি’ 

দেশের সংগীতাঙ্গনের উজ্জ্বলতম তারকা হাবিব ওয়াহিদ। একবিংশ শতকে তিনি একটি নতুন ধারার সূচনা করেছেন, পরবর্তীতে যে পথের পথিক হয়েছেন আরও অনেকেই। অডিও গান, মিউজিক ভিডিও, প্লেব্যাক কিংবা অন্যের জন্য সুর-সংগীত, সবেতেই আকাশচুম্বী সাফল্য পেয়েছেন।
 
দুই দশকের ক্যারিয়ারে হাবিব মূলত নিজের সুর-সংগীতে গান করেন ও করান। তবে কিছুদিন আগে অন্যের সুরে প্রথমবার প্লেব্যাক করেছেন। গানের শিরোনাম ‘অভিমানী রোদ্দুরে’। এটি রয়েছে মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এ। এর আগে নিকট সময়ে অন্যের সুরে আরও দুটি সিঙ্গেল গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন হাবিব।
 
ঠিক কী কারণে ইদানীং অন্যের সুরে গান গাইছেন? খোলাসা করেছেন সেই রহস্য। হাবিবের ভাষ্য, ‘আসলে নিজের কণ্ঠ-সুরে কিছুটা বিরক্ত আমি। এটা হলো সবচেয়ে অনেস্ট উত্তর। কারণ টানা ২০ বছর ধরে আমি নিজের সুরে আমার কণ্ঠ শুনে আসছি। আমার কম্পোজার পরিচয়টাকে একপাশে রেখে যদি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ভাবি, তাহলে কিন্তু মাঝেমধ্যে কৌতূহল হয়, আচ্ছা ওই গানটা আমার কণ্ঠে কেমন লাগবে! এমনিতেও তো আমরা নিজের বাইরেও অন্যের গান গুনগুন করি। যদি সেটা ভালো লাগে। তখন ফিল করি, ঐ সুরটার সঙ্গে যদি আমার কণ্ঠটা পড়তো, অসাধারণ একটা গান হতে পারতো। সেই ভাবনা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্যের সুরে গাওয়ার।’

বাংলা ট্রিবিউন-এর সেলিব্রেটি শো ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’-এর ৪০তম পর্বে অতিথির আসনে বসে কথাগুলো বলেন হাবিব। ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সরাসরি সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে মাহমুদ মানজুরের মুখোমুখি হয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও ইন্ডাস্ট্রির নানা ইস্যুতে বিস্তারিত কথা বলেন হাবিব। 

কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, গান গেয়ে তার প্রথম আয় ছিলো ১০ হাজার টাকা। স্মৃতির পাতায় চোখ বুলিয়ে হাবিব বললেন, ‘সময়টা ছিলো নব্বই দশকের শুরুর দিকে। আমার বয়স তখন ১৪-১৫ বছর হবে হয়তো। ওটা ছিলো আমার ফুফুর বাসায় একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠান। কিছু হিন্দি-ইংরেজি গান গেয়েছিলাম। পরে দেখি আগত সব অতিথি চাঁদা তুলে আমাকে ১০ হাজার টাকা দিলো। এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার ছিলো ওই সময়ে।’

জনি হকের প্রযোজনায় ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’ সরাসরি সম্প্রচার হয় প্রতি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাংলা ট্রিবিউন-এর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।