জয়াকে পেয়ে স্মৃতিকাতর সাফজয়ী কৃষ্ণা-সানজিদা

জয়া আহসানকে সরাসরি কাছে পেলে দুই বাংলার যে কেউ পুলকিত হবেন; এটাই স্বাভাবিক। তবে খানিক ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটলো সাফজয়ী কৃষ্ণা-সানজিদাদের ক্ষেত্রে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি স্থানে বিশেষ সাক্ষাৎ ঘটে তাদের। সেলফি তো বটেই, আড্ডাও মারেন জমিয়ে। তারই দুটি ছবি সোশাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন জয়া আহসান। লিখেছেন অনবদ্য, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গৌরবোজ্জ্বল অবদান আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রামে এক জাদুময়ী নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের এই ঐতিহাসিক জয় যেমন আমাদের গোটা বাংলাদেশকে একত্রিত করেছে। ঠিক তেমনি আমাদের মেয়েরা সুপ্ত নারীবিদ্বেষী দানবদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক আলোকিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু করলো।’

জয়া এই পোস্টে যেমন আনন্দ রয়েছে তেমনি রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রতি নতুন বার্তা। এই ছবি ও বার্তার রেশ ধরে জয়ার সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউন-এর।

জয়া বললেন, ‘আমি অনেক কিছু ভুলেও গেছিলাম। আজ ওরা আমাকে কতো কথা মনে করিয়ে দিলো! বললো, আমার কথা শুনে তারা অনেক ইন্সপায়ার হতো। আমার সঙ্গে তারা অনেক অভাব-অভিযোগের গল্প করতে পারতো প্রাণখুলে। পরে অবশ্য আমারও মনে পড়লো ওদের সেই সময়কার কথা।’জয়া আহসান

জয়া জানান, ২০১৯ সালে ‘বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তর্জাতিক নারী গোল্ডকাপ’-এর প্রথম আসরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তখন প্রায়ই কৃষ্ণা-সানজিদাদের মাঠে বা ক্যাম্পে যেতেন এই অভিনেত্রী। লম্বা সময় তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। আলাপ করতেন, খেলোয়াড়দের নানা সীমাবদ্ধতার কথা।

জয়া বলেন, ‘তখন আমি ওদের সাহস দিতাম। স্বপ্ন দেখাতাম। বলতাম, সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) সাফ জয় করে এসে ওরাই আমাকে সেই গল্পগুলো শোনালো। এটা যে কী ভালো লাগার বিষয়, বোঝাতে পারবো না। আমি সচেতনভাবে বলছি, এটা কিন্তু ক্রেডিটের বিষয় নয়। এটা শুধুই ভালোলাগা বা আত্মতৃপ্তির বিষয়। আমি হয়তো ওদের জন্য কিছুই করিনি। কিন্তু তখন ওদের গল্পগুলো শুনেছি- এটুকুই।’

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তর্জাতিক নারী গোল্ড কাপ-এর প্রথম আসরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এভাবেই মাঠে ছিলেন জয়াশুধু কি স্মৃতিকাতরতা ছিল জয়া-কৃষ্ণাদের ছোট্ট আড্ডায়? না। প্রসঙ্গ এসেছে সিনেমারও।

জয়া বলেন, ‘ওরা নিজেরাই খবর পেলো, কাল (২৩ সেপ্টেম্বর) আমার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আমি বললাম, তোমরা সময়-সুযোগ পেলে ছবিটা দেখবে। আমাকে জানাবে- কেমন লাগলো। এটুকুই।’ 

প্রায় দেড় বছর পর মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের নতুন ছবি ‘বিউটি সার্কাস’। মাহমুদ দিদারের নির্মাণে এটি প্রথম সপ্তাহে চলবে ঢাকার সবগুলো মাল্টিপ্লেক্সসহ মোট ১৯টি প্রেক্ষাগৃহে। এতে জয়াকে দেখা যাবে একটি সার্কাস দলের লিডারের (বিউটি) চরিত্রে। যে কিনা সমাজের শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার দলটিকে আগলে রাখে, যেমনটা দেখিয়েছেন সাফজয়ী কৃষ্ণা-সালমা-সানজিদারা।ডানে সানজিদা আক্তার, মাঝে কৃষ্ণা রাণী সরকার