দেশকে জানতে এবং জানাতে প্রতিনিয়ত ‘ইত্যাদি’ যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ঝালকাঠিতে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি, সুগন্ধা, বিষখালী, বাসন্ডা, গাবখান-এই পাঁচ নদীর মোহনায়!
এবারের পর্বটি ধারণ করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে ঝালকাঠিতে ছিল উৎসবের আমেজ। দর্শকদের বাঁধভাঙা জোয়ারে পুরো মাঠই ছিলো দর্শকপূর্ণ। স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বে ঝালকাঠিতে কখনও কোনও অনুষ্ঠানে এত দর্শক সমাগম হয়নি। কর্দমাক্ত ও অপ্রশস্ত রাস্তা ছিলো গাড়ি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত। তাই দর্শকদের প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যেতে হয়েছে।
‘ইত্যাদি’ কর্তা হানিফ সংকেত জানান, জন্ম ও মৃত্যু একসূত্রে গাঁথা এক অভিন্ন চেতনার নাম। এবারের অনুষ্ঠানে এই বিষয়ের ওপরেই একটি দ্বৈত সংগীত গেয়েছেন রবি চৌধুরী ও শফি মণ্ডল। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। রয়েছে ঝালকাঠির নদী ও গৌরবগাঁথা নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ। গানটির কথা লিখেছেন মনিরুজ্জামান পলাশ, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ সেন গুপ্ত।
দর্শক পর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান ঝালকাঠিকে নিয়ে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। যাত্রাপ্রিয় এই ঝালকাঠিতেই দেড়শত বছর আগে প্রথম নাথ ও নট্ট নামে বাংলার শ্রেষ্ঠ দুটি যাত্রা দলের যাত্রা শুরু হয়। তাই দর্শক পর্বের দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের জন্য বিষয় নির্বাচন করা হয়েছিলো যাত্রাভিনয়।
ঝালকাঠির মঞ্চে এবার নাতি ও ভাগ্নেকে দেখা গেলেও দেখা যায়নি নানী ও মামাকে। সাথি হারা নাতি এবং মামা ছাড়া ভাগ্নে কি করেছে এবারের ‘ইত্যাদি’তে, দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে অনুষ্ঠান প্রচারের দিন পর্যন্ত।
বরাবরের মতো এবারও ‘ইত্যাদি’র শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।
এবারের পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। যথারীতি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। অর্থায়ন করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।