অস্কারে ছবি পাঠাচ্ছে না রাশিয়া, মনোনয়ন প্রধানের পদত্যাগ

অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯৫তম আসরে আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে অংশ নেবে না রাশিয়া। ২০২৩ সালের অস্কারের জন্য ছবি জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এ কারণে রাশিয়ার অস্কার মনোনয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান পাভেল চুখরাই পদত্যাগ করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রুশ একটি সংবাদমাধ্যমকে পাভেল চুখরাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার ফিল্ম একাডেমি তার সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই একতরফাভাবে অস্কারে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি এর নিন্দা জানিয়েছেন। এমন পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন এই নির্মাতা।

১৯৯৭ সালে তার পরিচালিত ‘দ্য থিফ’ অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।

রাশিয়ার অস্কার মনোনয়ন কমিশনের আরেকজন পরিচালক প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেন পাভেল চুখরাই।

অস্কারে কেন ছবি জমা দেওয়া হচ্ছে না, সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি রাশিয়ার ফিল্ম একাডেমি। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে রুশ সরকারের এই পদক্ষেপ।

কোন ছবি অস্কারের মর্যাদাপূর্ণ সেরা আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র) বিভাগের জন্য পাঠানো হবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে রাশিয়ার অস্কার মনোনয়ন কমিশন। যেমনটা রয়েছে বাংলাদেশেও। এবার এই কমিটির অনুমোদন পেয়েছে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’।

গোটা বিশ্ব থেকে জমা পড়া ছবি থেকে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করবে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা। আগামী বছরের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে দেওয়া হবে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস।

রাশিয়ার হয়ে সবশেষ ১৯৯৪ সালে নিকিতা মিখালকভ পরিচালিত ‘বার্নট বাই দ্য সান’ অস্কারের সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে। এর প্রেক্ষাপট ১৯৩৬ সালে স্তালিনের শুদ্ধিকরণ অভিযানের সময়। তখন একজন রেড আর্মি অফিসার ও তার স্ত্রীর সামনে ফিরে আসে একজন প্রাক্তন প্রেমিক।

অস্কারের সেরা আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত রাশিয়ার সবশেষ দুটি ছবি হলো আন্দ্রেই জিভিয়াজিন্তসেভ পরিচালিত ‘লেভিয়াথান’ (২০১৪) ও ‘লাভলেস’ (২০১৭)।