এমন অনেক প্রশ্ন খুব উড়ছে ঢালিউডে। বিপরীতে জায়েদ খান ঘুরছেন জন্মস্থান পিরোজপুরে। কখনও তিনি নিজের পুকুরে মাছ ধরছেন, পথে পথে বৃক্ষরোপণ করছেন। আবার কখনও ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করছেন, জনসমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছেন পূজা উৎসবে। বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতেও দেখা গেছে তাকে।
সোশাল হ্যান্ডেলে সেসব শেয়ারও করছেন হাসিমুখে। অথচ জায়েদ খানের অপর নাম হয়ে উঠেছিল বিএফডিসির বটবৃক্ষ! যে বৃক্ষের জন্ম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ঘিরে। এমনও সময় ছিল, এফডিসিতে কেউ না থাকলেও পাওয়া যেতো এই অতন্দ্র প্রহরীকে। এ নিয়ে অভিযোগও কম ওঠেনি তার বিরুদ্ধে।
তবে এফডিসিকেন্দ্রিক জীবনের এমন সূচিতে আমূল বদল এনেছেন জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে নিপুণের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক আর আইনি জটিলতায় একরকম ব্যাকফুটে আছেন এই নেতা-নায়ক। গত তিন মাসেরও বেশি সময় এফডিসিতে পা পড়েনি তার, দেখা যায়নি সিনেমার কোনও অনুষ্ঠানেও। খবর নেই নতুন কোনও সিনেমারও। তার সর্বশেষ ছবি ‘সোনার চর’-এর শুটিং হলেও শেষ হয়নি ডাবিং।
তবে কি পিরোজপুরের ছেলে বাড়ি ফিরে গেলেন? নাকি সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি থেকে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে খানিকটা পিছু হটেছেন! দুটো সম্ভাবনাই এখন বাতাসে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, জায়েদ খান আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন। মূলত সেই হোমওয়ার্কটাই সারছেন এখন।
এই নায়ক-নেতা আরও বলেন, ‘‘অনেক দিন বাড়ি আসা হয় না। আমার ভাইরাও ব্যস্ত। তাই এবার এসে বাবা-মায়ের ঘর-বাড়িটা গুছালাম। উনাদের কবরস্থান ঠিক করলাম। আমার একটা সংগঠন আছে ‘সাপোর্ট মানবকল্যাণ সংস্থা’। ওদের নিয়েও কিছু সামাজিক ও মানবিক কাজ করলাম এলাকায়। কারণ, আবার কবে বাড়ি আসবো তার তো ঠিক নেই। ফলে আমার গ্রামে আসা নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’’
প্রসঙ্গত, জায়েদ খান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে টানা দুই পর্বে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। তৃতীয় নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করেন ভোটের অঙ্কে। যদিও তার নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সেই ফলাফলটি এখন আদালতে গড়িয়েছে। তবে আদালতের ফলাফল আসার আগেই সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করে চলেছেন নিপুণ আক্তার।