মামানামা- আউট অব দ্য বক্স 

আগুনে পোড়া প্রসঙ্গে রনি: লাইফ ইনসুরেন্সটা করে রাখা ভালো ছিলো

হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসেন আবু হেনা রনি। এই কাজ দিয়েই তিনি পেয়েছেন পরিচিতি, জনপ্রিয়তা। কলকাতার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘মীরাক্কেল’র ষষ্ঠ সিজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এরপর দেশে ফিরে স্ট্যান্ডআপ কমেডিতে নিজের পোক্ত অবস্থান গড়ে নেন।

তবে মাঝে একটা বড় ধাক্কা এসেছে রনির জীবনে। গাজীপুরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছিলেন। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। তবে প্রায় দেড় মাসের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন রনি। ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় যে উপলব্ধি হয়েছে, সেটাকেও মজার ছলেই বললেন রনি। তার ভাষ্য, “একবার মনে হয়েছে যে, লাইফ ইনসুরেন্সটা করে রাখা ভালো ছিলো আগে থেকে। সামগ্রিকভাবে বাড়ির চিন্তা-ভাবনা দেখে মনে হয়েছে আরকি। একটা ঘটনা বলি; ওইদিন (বিস্ফোরণের দিন) আরও কয়েক জায়গায় অনুষ্ঠান ছিলো। কিন্তু আমি সেগুলোতে না গিয়ে পুলিশের অনুষ্ঠানে গিয়েছি। তো আমি আহত হওয়ার পর তাদের একজন মেসেজ দিয়ে বলেছেন, ‘আমার প্রোগ্রামে আসলে কিন্তু আপনার এই সমস্যা হতো না!’ ভাবেন, আমি যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি হাসপাতালে, তখন এই মেসেজ আসে!”

মজা শেষে সিরিয়াস হলেন রনি। বললেন, ‘কার জীবন যে কখন কোথায় থেমে যায়, এটা বলা মুশকিল। এই কারণে জীবনের কিছু বিষয় পরিবারের সদস্যদের কাছে জানিয়ে রাখা বা বলে রাখা দরকার। যেমন কিছু নগদ টাকা বাসায় রাখা উচিত। কারণ যদি বাসায় আপনি একমাত্র আয়কারী মানুষ হন, তাহলে আপনার কাছে হয়ত এটিএম কার্ড আছে। কিন্তু আপনি কোনও দুর্ঘটনায় অজ্ঞান। তাহলে অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসার টাকাটা কোত্থেকে আসবে? আপনার জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কেউ কার্ডের পাসওয়ার্ড জানার সুযোগ নেই। তাই এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড কিংবা কিছু নগদ টাকা অন্তত বাসায় রাখা উচিত।’

হাসির মানুষ বলে কথা, শেষে আবারও তাই কৌতুকের আশ্রয় নিয়ে বলেছেন, ‘মৃত্যুর পরও যদি সুন্দরী মেয়েদের দেখতে চান, তাহলে মরণোত্তর চক্ষু দান করে যান।’

হাস্যরসের সঙ্গে জীবনবোধের এমন আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছে আবু হেনা রনি। বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত তারকা অনুষ্ঠান ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’র অতিথি হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে আলাপচারিতায় মজেছেন বাংলা ট্রিবিউনের বিনোদন সম্পাদক মাহমুদ মানজুর। প্রযোজনায় জনি হক।

সাক্ষাৎকারটি দেখুন এখানে: