মিস ওয়ার্ল্ড: ঐশ্বরিয়াকে টেনে ঐশীর পরামর্শ

ফের শুরু হয়েছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর বাংলাদেশ আসর। সুন্দরী অন্বেষণের এই আন্তর্জাতিক মাধ্যমের দেশভিত্তিক প্রক্রিয়া এটি। যেখান থেকে মাত্র একজন যাবেন বিশ্বমঞ্চে। সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাংলাদেশের। যেমনটা এর আগে করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।
 
ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র নিবন্ধন। এটি চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর প্রাথমিক বাছাই শেষে চলবে গ্রুমিং। সবশেষে অনুষ্ঠিত হবে মূল প্রতিযোগিতা। যেখানে তরুণীদের সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার বিচার করবেন গুণী অভিনেত্রী সারা যাকের ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওমিকন এন্টারটেইনমেন্ট। 

এদিকে যারা দেশসেরা সুন্দরী হওয়ার এই দৌড়ে শামিল হতে চান, তাদের জন্য একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন নায়িকা জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। তিনি ২০১৮ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছিলেন বরিশালের এই তরুণী। দেশের হয়ে এ পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে সফল প্রতিযোগী।

যিনি এবারের প্রতিযোগিতায় আগ্রহীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে টেনে আনলেন একই আসর থেকে ১৯৯৪ সালে উঠে আসা বলিউডের ঐশ্বরিয়া রাইকে। 
 
ঐশী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা এই প্রতিযোগিতায় আসতে আগ্রহী, তাদের জন্য একটাই পরামর্শ, জাস্ট বি ইউরসেলফ। নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। অন্য কারও মতো হওয়ার দরকার নেই। ঐশী বা ঐশ্বরিয়া ভালো করেছে বলে তাদের মতো হতে হবে, এরকম ভাবার অবকাশ নেই। নিজে যেটা, সেটাই যেন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উপস্থাপন করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

উল্লেখ্য, ‘বিউটি উইথ পারপাস’ স্লোগানে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে আসরে নানা বিতর্কের পর বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জেসিয়া ইসলামকে। এরপরের বছর মুকুট ওঠে ঐশীর মাথায়। ২০১৯ সালে বিজয়ী হন রাফাহ নানজীবা তোরসা।
 
মাঝে দুই বছর করোনার কারণে এটি অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই বিরতি কাটিয়ে আবারও শুরু হয়েছে সুন্দরী খোঁজার এই আসর।