জাহিদ হাসান ও তৌকীর আহমেদ, কে সত্য আর কে মিথ্যা!

জাহিদ হাসান ও তৌকীর আহমেদের শুরুটা কাছাকাছি সময়ে। টানা দুই দশকের অভিনয় রাজত্ব পেরিয়ে গেলো এক দশকে নির্মাণেও চমক দেখালেন তারা। ৯০ দশকের এই দুই তারকাকে নিয়ে এবারই প্রথম নির্মাণ হলো একটি ওয়েব সিরিজ। নাম ‘কে’। 

এটি নির্মাণ করেছেন গৌতম কৈরী। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপে এটি উন্মুক্ত হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করে এমনটাই জানালেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। এ সময় নির্মাতা-প্রযোজক ও প্রধান দুই শিল্পীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সানজিদা প্রীতি, দিলরুবা দোয়েল, তানজিকা আমিন প্রমুখ। আরও ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফিসার সোলায়মান আলমসহ অনেকেই।

‘কে’ প্রসঙ্গে তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘রহস্যকেন্দ্রিক এই গল্প দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। তাছাড়া, অনেক দিন পর আমি ও জাহিদ হাসান একসঙ্গে অভিনয় করলাম। গল্প, অভিনয় ও নির্মাণ সব মিলিয়ে কাজটি দর্শকদের পছন্দ হলে সবার পরিশ্রম সার্থক হবে।’

গৌতম কৈরী বলেন, ‘এটি ফ্যামেলি গল্পের ভেতর দিয়ে একটি মার্ডার মিস্ট্রি গল্পের ওয়েব সিরিজ। দুই দিকপাল অভিনেতাকে আমার প্রথম সিরিজে এক ফ্রেমে বন্দি করতে পেরেছি, এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। গল্পের ভেতরেও গল্প আছে। আশা করি দর্শকদের ভালো লাগবে।’

অনুষ্ঠানে টিম ‘কে’অন্যদিকে অভিনেতা জাহিদ হাসান বলেন, ‘গল্পের প্রাথমিক প্লটটা শোনার পর আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে। এই ওয়েব সিরিজে সাসপেন্স ও থ্রিল আছে। এছাড়া, গৌতম খুবই গুছানো ও আন্তরিক। আমার মনে হয় এটি সব ধরনের দর্শকের খুবই ভালো লাগবে।’

জানা যায়, ‘কে’ সিরিজে পেশায় লেখক এমন দুজন বন্ধুকে ঘিরে গল্পটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যে দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন জাহিদ হাসান ও তৌকীর আহমেদ। জীবনে জটিলতার মুখোমুখি হতে হতে তারা দুজনই দেখতে পান সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্য খুঁজে বের করা আসলেই খুব কঠিন। ওয়েব সিরিজটিতে একটি মার্ডার মিস্ট্রির গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে দেখানো হবে- প্রতারণা, মিথ্যা ও হ্যালুসিনেশন; সঙ্গে খুঁজে বের করা হবে, ‘কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা’!