৫৯ বছরে বিটিভি: যা বললেন মহাপরিচালক

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বুকে বাংলা ভাষার প্রথম দূরদর্শন বিটিভি (বাংলাদেশ টেলিভিশন)। ১৯৬৪ সালের এই দিনে (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকার তৎকালীন ডিআইটি ভবনের নিচতলায় চ্যানেলটির যাত্রা হয়। 

সে হিসেবে আজ (২৫ ডিসেম্বর) গৌরবোজ্জ্বল ৫৮ বছর পেরিয়ে ৫৯ বছরে পদার্পণ করছে জাতীয় এ গণমাধ্যমটি। জানা গেছে, বিটিভি পরিবারের সদস্যরা বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে।

সেই সূত্রে বিটিভি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যেখানে অংশ নেবেন বিটিভির শিল্পী ও কলাকুশলীসহ বিশিষ্টজনেরা। এছাড়াও দিনভর চ্যানেলটির পর্দায় থাকবে নানা পরিবেশনা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিটিভি স্বাধীনতা সংগ্রাম, কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষা, তথ্য, সংবাদচর্চার ক্ষেত্রে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। রুচিশীল অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান নির্মাণেও কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করে আসছে বিটিভি।’ 

তিনি মনে করেন, ‘৫৯ বছরে বিটিভির বড় অর্জন হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছানো। এবং চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার তথ্যগুলোকে সহজেই জাতির সামনে তুলে ধরতে পারা। এই ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।’ 

বলা দরকার, বাংলাদেশ জন্মের পর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে বিটিভিকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে আনা হয়। 

১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পদার্পণ করে বিটিভি। বিটিভির সম্প্রচার এখন এইচডি (হাই ডেফিনেশন) এবং টেরিস্ট্রিয়াল, স্যাটেলাইট ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। যুগোপযোগী পরিবর্তনের অঙ্গীকার আর প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে এবার ৫৯ বছরে পা রাখলো রাষ্ট্রীয় এ গণমাধ্যমটি।