রবিরাগের বসন্ত বরণ

আহা আজি এ বসন্তে...

মৃদু আলোর মঙ্গলপ্রদীপ। তার সঙ্গে লাগোয়া কিছু পাপড়ি, বাসন্তি রঙের গাদা ফুলের। এঁকেবেঁকে এঁকে যা তৈরি করা হয়েছে তা গাছের চিহ্ন। দরজার চৌকাঠের পাশে আগুনের রং, সঙ্গে আগুন রঙা ফুল। তবেকি বসন্ত এসে গেছে। ভেতরে সুরের দ্যোতনা, বাজছে 'আহা আজি এ বসন্তে'।

রবিরাগের বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতি-কণ্ঠশিল্পী আমিনা আহমেদ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।পুরো আয়োজনটি রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রবিরাগের। ঋতুরাজ বসন্ত বরণ করতে ১ ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ আয়োজন করা হয়েছিল রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে।

পুরো আয়োজনই ছিল বসন্তের অনুষঙ্গে ঠাঁসা। ছিল গান, কবিতা, নাচ। কখনও গানের সঙ্গে নাচ, কখনও কবিতার সঙ্গে গান।

রবিরাগের বসন্ত বরণ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।বসন্ত নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। নিশিতে, চারদিক, মোরে প্রিয়াসে মিলা আহি (দক্ষিণ দুয়ার), কোনও কথা না বলি, গানের ডালি, মৌমাছিদের ঘরছাড়া কে করেছে, ভালোবেসে সখি, মোর ভাবনা, পাখি আমার নিজের পাখি, সেদিন দুজনে, ভালোবেসে যদি সুখ নাহি,  কোন বনের হরিণ, এ শুধু, আমিার ইচ্ছে করে, সখি ভাবনা কাহারে বলে, আহা আজ এ বসন্তে, দোলে দোলনচাঁপা, সবার রঙে- গানগুলো ছিল শিল্পীদের তালিকায়।

রবিরাগের বসন্ত বরণ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।অনুষ্ঠানের বাড়তি মাত্রা দেয় হিন্দি ও বাংলা দুই সংস্করণে গাওয়া গান ‘মোরে প্রিয়াসে মিলা আহি (দক্ষিণ দুয়ার)’ সঙ্গে নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীদের নাচ। এছাড়া ‘মেঘমল্লার’ গানটি সাদি মহম্মদের কণ্ঠের পাশাপাশি ইকবাল বাহার চৌধুরীর আবৃত্থি ছিল ভালোলাগার। অনুষ্ঠানের শেষভাগে আমিনা আহমেদ ও সাদি মহম্মদের দ্বৈত কণ্ঠের গাওয়া ‘আহা আজি এ বসন্তে’ ও তাপস দত্তের রাগের বন্দিসও ছিল মুগ্ধকর।

পুরো আয়োজনটি করা হয় ধারাবাহিক গান ও বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে। রবিরাগের সভাপতি আমিনা আহমেদ বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে ও সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানেন। 

রবিরাগের বসন্ত বরণ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।/এম/এমএম/