‘ওমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ (ওয়াও) ফেস্টিভ্যাল-এর বাংলাদেশের এবারের আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি। স্থান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল মাঠ ও চিত্রশালা ভবন। উৎসবটির আয়োজক হিসেবে ওয়াও ফাউন্ডেশনের সঙ্গে থাকছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন এবং সিসিডি বাংলাদেশ।
এবারের আয়োজন প্রসঙ্গে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দুই উজ্জ্বল অভিনেত্রী ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন-এর ফাউন্ডিং চেয়ারপারসন সারা যাকের এবং সংগীতশিল্পী ও চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান শারমিন সুলতানা সুমী। আরও ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের কালচারাল এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইফরা ইকবাল; সিসিডি বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট-ডিরেক্টর শাহানা পারভীন; ক্রিয়েটিভ পাথওয়েজ বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকিয়া হক প্রমুখ।
এতে আয়োজনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।
জানানো হয়, এ বছর ‘ওয়াও বাংলাদেশ ২০২৩’-এ নারীদের সাহসিকতা এবং স্থিতিস্থাপকতা ও শক্তি, কর্মক্ষমতা, কর্মকাণ্ড, সংগীতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে নারীদের অর্জনসমূহ তুলে ধরা হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি উৎসব উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
উৎসবটি লিঙ্গবৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থনে একটি বিশেষ মার্কেটপ্লেসের যাত্রা শুরু করবে। এছাড়া, উৎসবে দর্শকরা প্রদর্শনী, সংগীত পরিবেশনা, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, পারফরম্যান্স আর্ট এবং সুদীপ চক্রবর্তী পরিচালিত একটি প্রতিবন্ধী আর্ট থিয়েটার নাটিকা ‘স্বর্ণবোয়াল’ উপভোগ করবেন। এই নাটকে কিংবদন্তি আসাদুজ্জামান নূর অভিনয় করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কালচারাল এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইফরা ইকবাল বলেন, “ওমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের আর্টস পোর্টফোলিওর অধীনস্থ নারীদের সমর্থন করে আমাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। আমরা বিশ্বাস করি যে লিঙ্গ সমতা অর্জন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে শিল্পকলার অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি।”
ওয়াও ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা জুড কেলি ২০১০ সালে এই সংস্থার যাত্রা শুরু করেন।
ওয়াও ফাউন্ডেশন ২০১৭ সাল থেকে দেশের চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর এবং সিলেটে বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং ২০১৯ সাল থেকে ঢাকায় সম্পূর্ণ জাতীয় পর্যায়ে উৎসব উদযাপন শুরু করে। সাম্প্রতিক মহামারিতেও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে নারী প্রতিনিধিদের নিয়ে ভার্চুয়াল ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে সম্মিলিতভাবে ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শক এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে।