ভালোবাসা কোনও নির্দিষ্ট দিনে সীমাবদ্ধ নয়, এটা ধ্রুব সত্য। কিন্তু একটা দিনে ঘটা করে ভালোবাসতে তো দোষের কিছু নেই। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সেই ভালোবাসার দিন; একই দিনে প্রকৃতিতে লেগেছে ফাগুনের আগুন। ফলে দিনটি বাঙালির কাছে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বিশেষ এই দিনে তারকাদের সংসার ও সম্পর্কের গল্প নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ আয়োজন- ‘তারকার জীবনসঙ্গী যখন সাধারণ কেউ’। এ আয়োজনে আমরা শুনতে চেয়েছি সেসব তারকার জীবনসঙ্গীর গল্প, যারা নিজ জগতের বাইরে গিয়ে বাসা বেঁধেছেন।
এই পর্বে রইলো চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের গল্প...
সিয়ামের স্ত্রীর নাম শাম্মা রুশাফি অবন্তী। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে চাকরিজীবনও শুরু করেছেন। তবে মা হওয়ার পর আপাতত সংসার আর ছেলে জায়ানকে ঘিরে তার মনোযোগ।
সিয়াম-অবন্তীর প্রেমের শুরুটা ২০১১ সালে। তবে চেনা-পরিচয় আরও বছর দুয়েক আগে থেকেই। টানা সাত বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০১৮ সালের বিজয় দিবসে, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা।
প্রেম থেকে বিয়ে নাকি পারিবারিক আয়োজনের বিয়ে, কোনটা শ্রেয়—এমন প্রশ্ন করা হয় সিয়ামের কাছে। তার উত্তর, ‘যে যেটাতে মানিয়ে নিতে পারে, সেটাই ভালো। বিষয়টা একেকজনের কাছে একেকরকম। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ; এভাবে আসলে বলা যায় না। বোঝাপড়া ভালো হলে প্রত্যেকটা জিনিসেই ইতিবাচক দিক থাকে।’
তারকা হিসেবে শোবিজ জগতের নানাবিধ ব্যস্ততায় ডুবে থাকতে হয় সিয়ামকে। স্বাভাবিকভাবেই ইচ্ছেমতো সময় দিতে পারেন না স্ত্রীকে। সেক্ষেত্রে সংসার-সম্পর্কে কীভাবে মানিয়ে নেন? সিয়াম বললেন, ‘মানাতে হয়, ব্যাপারটা এমন নয়। আমার পেশা সম্পর্কে সে জানে, প্রথম থেকেই দেখে এসেছে। তো তার দিক থেকে সেই সাপোর্ট সবসময় থাকে। জীবনসঙ্গীর এই সাপোর্ট না থাকলে যে কারোর জন্যই কাজ করা কঠিন। এজন্য বাসার সবদিক সে সামলায়; আর আমি বাইরের কাজ, যেটা আমার পেশা সেখানে মনোযোগ দেই। তাই আমার প্রতি কাজেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তার সমর্থন থাকে।’
তবু স্ত্রীর জন্য কিছু কথা না বললেই নয়। সেটা এরকম, ‘যে সাপোর্ট সে (অবন্তী) আমাকে করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে, অবশ্যই আমি সেটার প্রশংসা করি। এখন তার বেশিরভাগ সময় আমাদের ছেলে জায়ানকে সামলাতেই চলে যায়। নিজের জন্য সময় পায় না। নিজের কাজ ও জীবন বিলিয়ে দিয়ে সন্তানকে বড় করে তোলা, এটা অনেক বড় কম্প্রোমাইজ। এজন্য আমি তার কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো।’
বলা প্রয়োজন, ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল সিয়াম-অবন্তীর ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান জোরাইজ আহমেদ জায়ান।