রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা: গানে-প্রশিক্ষণে শেষ হলো নবীনবরণ

দেশে রবীন্দ্রসংগীতের প্রসার ও শুদ্ধ চর্চা বাড়াতে প্রায় তিন যুগ ধরে কাজ করছে ‘রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা’। সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিল্পী কলিম শরাফীর হাত ধরে সংগঠনটি যাত্রা করেছিলো। এখন শত শত শিল্পীর সমন্বয়ে বিশাল এক রূপ লাভ করেছে।

প্রতিনিয়তই ‘রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা’য় নতুন নতুন সদস্য যোগ দিচ্ছেন। তাদেরকে বরণ করে নিতেই চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। যা শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে।

শেষদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে, শিল্পী কলিম শরাফীর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে। এরপর রবীন্দ্রসংগীতের স্কেল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পীযুষ বড়ুয়া। সন্ধ্যা সাতটার দিকে শুরু হয় সংগীত পরিবেশনা।

রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনায় শিল্পীপ্রথম শিল্পী হিসেবে মঞ্চে ওঠেন প্রজ্ঞা পারমিতা রায়। তিনি ‘বহে নিরন্তর অনন্ত’ গানটি পরিবেশন করেন। এরপর একে একে গান পরিবেশন করেন সৌমেন্দ্র বাড়ৈ, শিল্পী রায় পলি, শিল্পী সাহা, জান্নাতুন নাঈম পিংকী, সঞ্জীব সূত্রধর শেখর কুমার কর্মকার, মাসফিদা আখতার, পারভিন আক্তার, দেবযানী মিত্র, মোসাম্মদ মমতাজ বেগম, জীনাত ফেরদৌস ছবি, নকুল চন্দ্র দাস, স্মৃতি কর্ণা পাল, মুক্তা দেব আলপনা, মো: আক্তারুজ্জামান সবুজ ও নাসরিন আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিল্পী সীমা সরকার।

পুরো আয়োজনটি নিয়ে ‘রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা’র সাধারণ সম্পাদক পীযুষ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে অনুষ্ঠানটি করেছি। সেই তুলনায় বলবো, সফল হয়েছে। আমাদের সংস্থায় প্রায় চল্লিশ জনের মতো শিল্পী যুক্ত হয়েছেন। তাদেরকে স্বাগত জানানো বা বরণ করে নেওয়ার জন্যই এ আয়োজন। এর পাশাপাশি তাদেরকে নিয়ে কর্মশালা করেছি। তারা মঞ্চে গান গেয়েছেন। মঞ্চে গান গাওয়ার দক্ষতা তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে আসবে। কিন্তু এখানে যেহেতু পুরনো-জ্যেষ্ঠ শিল্পীরাও আছেন, তাদের সামনে নতুনরা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে গান পরিবেশন করেছেন। ফলে তাদের পরিবেশনাগুলো চমৎকার হয়েছে’।

সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযুষ বড়ুয়াতিনি আরও জানান, আগামী মার্চেই বড় পরিসরে ‘রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা’র উৎসব হবে। সেখানে নবীন-পুরনো শিল্পী সবার পরিবেশনা থাকবে। তবে উৎসবের ভেন্যু ও তারিখ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

সঞ্চালনায় সীমা সরকারবলা প্রয়োজন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ‘কর্মশালা ও সংগীতে নবীনবরণ’ শীর্ষক এ আয়োজন। প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সভাপতি, বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী তপন মাহমুদ এবং সংস্থার নির্বাহী সভাপতি ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী আমিনা আহমেদ-সহ অনেকে। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ১৭ ফেব্রুয়ারির বসে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীদের এ মিলনমেলা।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন