মামানামা-আউট অব দ্য বক্স

আমেরিকায় ‘শনিবার বিকেল’, ফারুকীর চোখে যেটা বড় প্রাপ্তি

গেলো ১০ মার্চ উত্তর আমেরিকার দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত নতুন ছবি ‘শনিবার বিকেল’। দুই দেশের ৭১টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে এটি। আর ছবির কারিগর হিসেবে মার্কিন মুলুকের হলগুলোতে ঘুরে ঘুরে দর্শকের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছেন ফারুকী।

কেমন সেই প্রতিক্রিয়া? জানতে চাওয়া হলে ‘টেলিভিশন’ খ্যাত নির্মাতার জবাব, ‘দর্শকের প্রতিক্রিয়া অসাধারণ। ছবি বানানোর সময় যে কষ্টের মধ্যে থাকি, আমরা অপেক্ষা করি যে, দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে সেটা জানার জন্য। এ পর্যন্ত যতগুলো হলে গিয়েছি, সবখানেই দর্শকের ভালো রিঅ্যাকশন পেয়েছি।’

ছবি দেখা শেষে দর্শকের করতালি কিংবা উচ্ছ্বাস ভালোলাগার ইঙ্গিত দেয়। অনেকে মুখফুটে বলছেনও সেই ভালো লাগার কথা। তবে এর চেয়েও বড় প্রাপ্তি খুঁজে পেয়েছেন ফারুকী। যেটা তার সমস্ত কষ্ট-ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে।

ফারুকী বলেন, ‘প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শক এমন সব বিষয় খেয়াল করেছেন এবং ব্যাখ্যা করেছেন, যেই ব্যাখ্যাগুলো ছবিটা বানানোর সময় আমি আমার টিমকে, অভিনয়শিল্পীদের দিতাম; এখন ওই একই কথা দর্শক আমাকে বলছে; এটা সেরা অনুভূতি। এতে আসলে সমস্ত ক্লান্তি ভুলে যাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা হলে চলছে ‘শনিবার বিকেল’আমেরিকায় ছবি মুক্তি দিয়ে নতুন একটি বিষয় বুঝতে পেরেছেন ফারুকী। তা হলো- বিদেশের আগে দেশে মুক্তি। এ নিয়ে নির্মাতার মন্তব্য এরকম, ‘উত্তর আমেরিকায় কোনও ছবি মুক্তি দেওয়ার আগে বাংলাদেশে ছবিটা মুক্তি দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশে যখন একটা ছবি মুক্তি পায়, তখন সেটা নিয়ে মানুষ কথা বলে, নানারকম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ওই বিষয়গুলো তখন আমেরিকার দর্শকের নজরেও যায়। তারা ছবিটা সম্পর্কে জানতে পারেন। এ কারণে আমরা একটা দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিলাম।’

উদাহরণ টেনে ফারুকী বললেন, ‘আমি যখন এখানে (আমেরিকা) এসে নামি, তখন এখানকার বিভিন্ন বাঙালি, যারা সেখানে কাজ করেন বা ঘুরতে গেছেন, তারা আমার সঙ্গে সেলফি তুলছেন, ভালো লাগার কথা বলছেন। কিন্তু কেউ জানেন না আমার ছবিটা এখানে মুক্তি পাচ্ছে! তখন আমি বুঝলাম যে, ছবি মুক্তির তথ্যটা সেখানে পৌঁছানো এটা বিশাল ব্যাপার। এই সূত্রেই জানতে পারলাম হোম রিলিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

এরপরও বিভিন্ন হলে দর্শক সমাগম আশানুরূপ বলে জানা গেছে। ফারুকী হলে হলে গিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখছেন। আবার তারা সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ছবিটি নিয়ে কথা বলছেন। এর মাধ্যমে আরও বড় সংখ্যক দর্শকের কাছে ‘শনিবার বিকেল’ পৌঁছে যাবে বলে প্রত্যাশা এই নির্মাতার।

ছবি মুক্তি সংক্রান্ত এরকম আরও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত আয়োজন ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’-এ খোলাখুলি কথা বলেছেন ফারুকী। জনি হকের প্রযোজনায় তার সঙ্গে কথা বিনিময় করেছেন বাংলা ট্রিবিউনের বিনোদন সম্পাদক মাহমুদ মানজুর।

পুরো সাক্ষাৎকার এখানে: