টালিগঞ্জের বাণিজ্যিক মাসালা সিনেমার ভিড়ে অভিনয়সত্তা ধরে রাখা গুটিকয়েকের একজন তিনি। এজন্য তার কদর বরাবরই চড়া। সেই অফট্র্যাকের রাস্তায় তার দাপটে রীতিমতো ভাগ বসালেন আরেক অভিনেত্রী। যিনি কলকাতা তো দূর, ভারতেরও নন; বরং বাংলাদেশের। একের পর এক টলি ছবিতে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে সবাইকে জিতে নিলেন এক দশকের জার্নিতে।
নিজের মাঠে অন্যের দাপট দেখে কপালে ভাঁজ পড়া কিংবা মনের কোণে হিংসার দাবানলের সূচনা হওয়াটা হয়ত স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু তা ঘটেনি। বরং ঢাকাই রমনীর প্রতিটি কাজই মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছেন তিনি। আর গুনেছেন অপেক্ষার প্রহর, অভিনয়ের সেই দেবীর সাক্ষাৎ দর্শনের।
যাদের ঘিরে এত কথার অবতারণা, তারা স্বস্তিকা মুখার্জি ও জয়া আহসান। একজন টলিউডে আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত তারকা, অন্যজন ঢাকা থেকে গিয়ে গড়েছেন নিজস্ব সাম্রাজ্য। মজার ব্যাপার হলো, জয়ার টলিউড জার্নির এক দশকেও স্বস্তিকার সঙ্গে কখনও দেখাই হয়নি, একত্রে কাজ তো আরও দূরবর্তী প্রসঙ্গ।
তবে আসন্ন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুই দেবীর পারষ্পরিক দর্শনের সুযোগটা হয়েছে। কলকাতার ইনডালজ ম্যাগাজিনের বিশেষ ফটোশুটে একত্রে অংশ নিয়েছেন জয়া-স্বস্তিকা। যেটার ছবিগুলো ইতোমধ্যে সোশ্যাল দেয়ালে ভাইরাল।
আগে কখনও জয়ার সঙ্গে চোখাচোখি-কথা বিনিময় না হলেও তার প্রতি ভালোলাগা ছিলো বলে জানালেন স্বস্তিকা। বললেন, ‘তার (জয়া) অভিনীত সবগুলো সিনেমা আমি দেখেছি, দর্শক হিসেবে তার সঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি। সবসময় চেয়েছি তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে। ইনডালজকে ধন্যবাদ সেই সুযোগটা করে দেওয়ার জন্য।’
নিজের ফেসবুক পেজে ফটোশুটের ছবি ও ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। সে প্রসঙ্গে তার বার্তা, ‘অত্যন্ত মেধাবী জয়া আহসান ও আমি প্রথমবার এক হয়েছি জাদুকরি কিছু সৃষ্টি করতে। সেটার ঝলক এবং আমাদের সাক্ষাৎকার রইলো এখানে। এই দেখা হওয়া যেন চিরস্থায়ী হয়।’
স্থিরচিত্রের প্রসঙ্গ পেরিয়ে চলচ্চিত্রের খবরে চোখ দেওয়া যাক। আগামী ৫ মে মুক্তি পাবে স্বস্তিকার নতুন ছবি ‘শিবপুর’। যেটির নির্মাতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সহশিল্পী পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।