দেশের প্রেক্ষাগৃহে বলিউডের ছবি মুক্তির বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বিভিন্ন গণমাধ্যমে জ্বালাময়ী বক্তব্যের পাশাপাশি রাজপথে নেমে মানববন্ধন পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপমহাদেশের ছবি আমদানি ও মুক্তির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আবেদনটা অবশ্য ছিলো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদেরই।
ওই অনুমতির ফলস্বরূপ ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৫ মে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমা ‘পাঠান’। অ্যাকশন-কাট এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ছবিটি আমদানি করেছেন অনন্য মামুন। ইতোমধ্যে মুক্তির জন্য প্রচারণা-তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এর মধ্যেই বাধ সাধলেন দেশের নির্মাতারা। বিশেষ করে ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর নির্মাতাদের দেখা গেছে বক্তার টেবিলে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় একটি ঝটিকা সংবাদ সম্মেলন করে তারা অনুরোধ জানান, যেন ‘পাঠান’র মুক্তি আরও অন্তত দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মতে, ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো ভালো সাড়া পাচ্ছে। এমন সময়ে বিদেশি ছবি মুক্তি পেলে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নির্মাতা ঝন্টুও। ফের জ্বালাময়ী বক্তব্যে প্রকাশ করলেন নিজের ক্ষোভ। বললেন, ‘কী লজ্জা কী লজ্জা! বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে উর্দু-হিন্দি ছবি সরিয়ে বাংলা ছবি চালানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে! আমাদের দেশ, আমার ভাষা, আমার সব কিছু; অথচ হিন্দি ছবি যেটার আশি শতাংশ উর্দু, সেই ছবি সরিয়ে আমাদের ছবি চালানোর জন্য আমরা অনুরোধ করছি!’
ক্ষুব্ধ স্বরে ঝন্টু আরও বললেন, “যদি এই দেশে উর্দু ছবি চালানো হয়, তাহলে সালাম-রফিক-জব্বারের মুখে ‘গোবর লেপে’ দিন। আমরা কিন্তু মিছিলে নেমে যাবো। যদি প্রয়োজন হয়, প্রেক্ষাগৃহে আগুন জ্বলবে।”
এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা সৈকত নাসির, সাইফ চন্দন, তপু খান, মো. ইকবাল, আবু তাওহীদ হিরণ, সোলায়মান আলী লেবু প্রমুখ। তাদের প্রত্যেকের ছবি এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে।