এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

তথ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ছবিটির নাম ‌‘মেঘনা কন্যা’। এরমধ্যে ৯০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানান নির্মাতা। 

ব্যক্তি দ্বন্দ্বের কঠিন বিষয়কে অত্যন্ত সাবলীল উপায়ে সরল গল্পের মাধ্যমে তিনি ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এ প্রসঙ্গে ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘‘ডকুফিকশনের কাজ করতে গিয়ে এমন অনেক গল্পের মুখোমুখি হয়েছি, যেগুলো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছাড়া বলা সম্ভব না। ‘মেঘনা কন্যা’ তেমনই একটা গল্প। নারী পাচারের মতো একটি কঠিন বিষয়কে একদিকে যেমন দর্শকের সামনে উপস্থাপন করছি; একই সাথে গ্রামীণ পটভূমিতে বলা এ গল্পে রয়েছে দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদন।’’

‘মেঘনা কন্যা’র চিত্রনাট্য করেছেন ফাহমিদুর রহমান ও আহমেদ খান হীরক। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি, সাজ্জাদ হোসেইন, কাজী নওশাবা আহমেদসহ অনেকে। সংগীতায়োজনে রয়েছেন চিরকুটখ্যাত সুমী।

ছবিটির প্রযোজনা করেছেন কাজী সাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার আজাদ।

পূর্ণদৈর্ঘ্যে আসার আগে ফুয়াদ চৌধুরী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুফিকশন নির্মাণ করেছেন। যেগুলো দেশে ও বিদেশে হয়েছে প্রশংসিত, পেয়েছে পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্র ‘মারসিলেস মেহেম- দ্য বাংলাদেশ জেনোসাইড থ্রো পাকিস্তানি আইজ’। যেখানে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের ওপর চালানো পাকিস্তানি আর্মির গণহত্যাকে দেখানো হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য দলিল হিসেবে সুধীজনেরা মনে করেন। এছাড়া ১৯৭৭ সালের ওপর নির্মিত একটি ডকুফিকশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রদর্শন করেছেন। সেটিও পেয়েছে প্রশংসা।