সোমবার (২৯ মে) মধ্যরাতে যখন সবাই মেতে আছে আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে। ঠিক তখন এক অঘটন ঘটে যায় ঢাকাই শোবিজে। হালের জনপ্রিয় অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। হ্যাক হওয়া বড় কোনও ঘটনা নয় বটে। কিন্তু সেই হ্যাক হওয়া আইডি থেকে বিস্ফোরকের মতো আপলোড হয় বেশ কিছু একান্ত ভিডিও ও ছবি।
ওইসব ভিডিও-ছবিতে দেখা গেছে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষিকে। প্রতিটি ভিডিওতে তাদের ‘অস্বাভাবিক’ অবস্থায় দেখা গেছে। কথাবার্তায়ও ছিল আপত্তিকর ভাষা। ফলে মুহূর্তেই বিষয়টি ছড়িয়ে যায় চারদিকে। রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে প্রসঙ্গটি নিয়ে।
রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। তিনি জানালেন, এসব ভিডিও বছর পাঁচেক আগের, যখন তারা একসঙ্গে ‘ন ডরাই’ ছবির কাজ করেছিলেন।
সুনেরাহ বলেন, ‘রাজকে আমি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে জানি এবং সে আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা সবাই জানি কীভাবে আমরা বেস্টফ্রেন্ডদের সঙ্গে কথা বলি। আপনাদের কাছে সমস্যা হলো সে (রাজ) একজন ছেলে আর আমি মেয়ে।’
কিছু দিন আগে রাজের সঙ্গে সুনেরাহর দেখা হয়েছিল একটি ডাবিং স্টুডিওতে। সে সময় তারা সেলফি তুলে পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। ওই ছবিকে ইঙ্গিত করে রাজের স্ত্রী, চিত্রনায়িকা পরীমণিও সোশ্যাল হ্যান্ডেলে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো নিয়ে সুনেরাহর ব্যাখ্যা, “যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, সেগুলো পাঁচ বছর আগের। আমাদের বয়স কম ছিল। আমরা সেভাবেই কথা বলার চেষ্টা করছিলাম, যেভাবে ‘ন ডরাই’র জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করতাম। কারণ, আমরা (বিশেষ করে আমি) সিনেমায় এসব গালি ব্যবহার করেছি। আরেকটি ফটো আমি তাকে পাঠিয়েছিলাম শুটিংয়ের প্রয়োজনে মার খেয়ে ব্যথা পেয়েছিলাম, সেটা দেখানোর জন্য (ছবিতে লিয়াকত আমাকে মারতেন, যারা ‘ন ডরাই’ দেখেছেন তারা জানেন); আঘাতের কারণে শুটিংয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই বোঝাতে। এই ছবি আমি শুধু তাকে পাঠাইনি, নির্মাতাকেও দিয়েছি।”
সবশেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সুনেরাহ। তার ভাষ্য, ‘এটাকে বড় করে দেখবেন না অনুগ্রহ করে, কারণ আইডি হ্যাক হয়েছিল এটা নিশ্চিত। আর আমরা সবাই জানি কে করেছেন। জনসমক্ষে হইচই করতে যার কোনও কারণ লাগে না! যারা এগুলো ছড়িয়ে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেবো।’