বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী বাংলাদেশের প্রয়াত চলচ্চিত্র, নাট্য ও যাত্রা শিল্পের প্রয়াত গুণীজন স্মরণে ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজনের প্রথম দিন (১১ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এদিন চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী আয়োজনে আলোচক হিসেবে ছিলেন মোরশেদুল ইসলাম ও মইনুদ্দীন খালেদ। এছাড়া সভাপতি হিসেবে ছিলেন শামীম আখতার। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রসূন রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের অকাল মৃত্যুতে আমরা প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীরসহ অনেক গুণী মানুষকে আমাদের হারাতে হয়েছে। যা এই শিল্পের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ সিনেমা নিয়ে পরিচালকের সাথে কথোপকথনের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তাঁর নির্মিত সিনেমার গভীরের বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ অনুধাবনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন মহাপরিচালক। চলচ্চিত্র ভাবনা ও দর্শন নিয়ে এই প্রজন্মের কাছে তারেক মাসুদ শিক্ষণীয় এবং অনুসরণীয় বলেও আলোচনায় তুলে ধরেন বক্তারা।
পরে প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদ নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’।
একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আয়োজনের ২য় দিন (১২ জুন) স্মরণ করা হবে চলচ্চিত্রের দুই দিকপাল আলমগীর কবির ও সারাহ বেগম কবরীকে। বিকাল সাড়ে ৫টায় আলমগীর কবির ও সন্ধ্যা ৭টায় সারাহ কবরী স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। এতে আলোচক হিসেবে থাকবেন জুনায়েদ হালিম এবং আকরাম খান, মুশফিকুর রহমান গুলজার ও মীর শামছুল আলম বাবু।
এদিন আলোচনা পর্ব শেষে প্রদর্শিত হবে আলমগীর কবিরের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘ধীরে বহে মেঘনা’।
৩য় ও শেষ দিন (১৩ জুন) স্মরণ করা হবে নাট্যকার মুনীর চৌধুরী এবং যাত্রা শিল্পের কিংবদন্তি অমলেন্দু বিশ্বাসকে। ১ম পর্যায়ে প্রবন্ধ পাঠ করবেন সৈয়দ মুহাম্মদ জুবায়ের এবং সভাপতি হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। আলোচক হিসেবে থাকবেন ড. আহমেদুল কবির ইয়াং ও সাইদুর রহমান লিপন।
অমলেন্দু বিশ্বাস স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তাপস সরকার, আলোচক হিসেবে থাকবেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস ও গোলাম সারওয়ার। সভাপতিত্ব করবেন লাকি ইনাম।
এরপর পরিবেশিত হবে মিলন কান্তি দে’র যাত্রার অংশবিশেষ।