‘মঞ্চের শুরুতে আমি ফ্লোর ঝাড় দিতাম’

মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র- সব মাধ্যমেই সফল অভিনেতা জাহিদ হাসান। তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘বিচ্ছু’র মতো তুমুল জনপ্রিয় মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। অথচ শুরুতেই সব কিছু পেয়ে যাননি। 

স্মৃতি রোমন্থন করে জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমি যখন মঞ্চে কাজ শুরু করি, তখন ফ্লোর ঝাড় দিতাম। এরপর কখনও শো’য়ের দিন টিকিট বিক্রি করতাম। তারপর চা পরিবেশন করতাম সবাইকে।’ 

এভাবেই শূন্য থেকে অনন্য হয়ে উঠেছেন একজন জাহিদ হাসান। 

মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ পর্বে এবার অতিথির আসনে দেখা যাবে জাহিদ হাসানকে। এই অনুষ্ঠানেই অভিনেতা বলেন, ‘শুধুমাত্র অভিনয়ের টানে পরিবারের সাথে আমার অভিমানের জায়গা তৈরি হয়েছিল। নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও ঢাকা চলে এসেছিলাম অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসায়। পরিবার থেকে হাত খরচের টাকা না নিয়ে ঢাকাতেই সংগ্রাম করে থাকতাম। সকাল-বিকাল-রাত পাউরুটির সাথে গুড় দিয়ে খেতাম। ঐ দিনগুলোতে এত পাউরুটি খেয়েছি, এখন সেজন্য পাউরুটি মুখেই তুলতে পারি না। একটা সময় যাতায়াত ভাড়ার টাকা বাঁচানোর জন্য টিএসসি থেকে রামপুরা বিটিভি ভবনে হেঁটে যেতাম। নাটকের মহড়ায় ছিঁড়ে যাওয়া প্যান্ট আর গেঞ্জি পরে চলে যেতাম। অনেক বড় নাট্যজনরা কর্মশালা করাতে আসতেন। একটা ডায়েরি কেনারও পয়সা ছিল না। এক পাতার কাগজেই সব পয়েন্টগুলো টুকে রাখতাম। তখনই মনে হয়েছিল, অভিনয় অনুধাবনের বিষয়, অনুভবের বিষয়, সবকিছু কাগজে কলমে লেখার প্রয়োজন নেই।’ 

দুই সঞ্চালকের সঙ্গে জাহিদ হাসান১৯৯০ সালে প্রথম টিভি নাটক ‘জীবন যেমন’-এর জন্য জাহিদ হাসান পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন ১২০০ টাকা। সেই জাহিদ হাসান এখন অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় তারকা। 

জাহিদ হাসানের এমন আরও কিছু সংগ্রামের গল্প নিয়ে সাজানো ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচার হবে ঈদের ২য় দিন (৩০ জুন) সকাল ৭টায়। রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন জোবায়ের ইকবাল।