ফেরদৌসের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি পূর্ণিমার ছবি!

ঢাকাই সিনেমার সফল নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। লম্বা ক্যারিয়ারে সমসাময়িক প্রায় সব নায়িকার সঙ্গেই কাজ করেছেন। এরমধ্যে একজন পূর্ণিমা। সিনেমা থেকে উপস্থাপনা, একসঙ্গে তারা অনেক কাজ করেছেন। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে সম্পর্কটাও মসৃণ, বন্ধুত্বের।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) পূর্ণিমার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে বন্ধু ফেরদৌস তো চুপ থাকতে পারেন না। তাই বিশেষ বার্তায় জানালেন শুভেচ্ছা। পূর্ণিমার সঙ্গে ধারণ করা বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত নায়ক।

ফেরদৌসের বার্তা থেকে জানা গেলো, তার মোবাইল ফোনে সবচেয়ে বেশি ছবি রয়েছে পূর্ণিমার সঙ্গে। এর কারণ হয়তো তাদের একত্রে অসংখ্য কাজ আর পারস্পরিক বন্ধন।

ফেরদৌস বললেন, ‘আমার মোবাইলে যার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ছবি, যার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কাজ, সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ, সবচেয়ে বেশি কথা বলা, কারণে-অকারণে, আরও কত শত সহস্র স্মৃতি। তুমি শুধু আমার প্রিয় বন্ধু না, তুমি আমার শ্রেষ্ঠ একজন বন্ধু।’

পূর্ণিমা ও ফেরদৌসশেষে পূর্ণিমার প্রতি একটি আহ্বান জানিয়ে ফেরদৌস বলেছেন, ‘এমনই বন্ধু থাকো আজীবন। শুভ শুভ শুভ দিন, আজ পূর্ণিমার জন্মদিন।’

বলা দরকার, ১৯৮৪ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। তার আসল নাম দিলারা হানিফ রিতা। ক্লাস নাইনে থাকা অবস্থায় তিনি সিনেমায় নাম লেখান। জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় তার প্রথম সিনেমা ‘এ জীবন তোমার আমার’ মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে।

তবে নায়িকা হিসেবে পূর্ণিমার জনপ্রিয়তার অধ্যায় শুরু হয় শূন্য দশকে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মনের মাঝে তুমি’ সিনেমা তার পায়ের তলার মাটি শক্ত করে দেয়। পরবর্তীতে দর্শকনন্দিত অনেক সিনেমায় দেখা গেছে পূর্ণিমাকে, যেমন- ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘সুভা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ ইত্যাদি। এছাড়া বেশ কিছু টিভি নাটকেও কাজ করেছেন পূর্ণিমা।

পূর্ণিমাদুই যুগের ক্যারিয়ারে পূর্ণিমা একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তার অভিনীত তিনটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো হলো- ‘জ্যাম’, ‘গাঙচিল’ ও ‘আহারে জীবন’।