শুধু জায়েদ খান নয়, অন্যরাও ঘটনাটিকে দেখছেন অবিশ্বাসের চোখে। অথচ বাস্তবতা হলো এই, নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দফতরের কোনও এক ভেন্যুতে ডেকে ঢাকাই নায়ক জায়েদ খানকে দেওয়া হলো হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড! একইসঙ্গে বাংলাদেশি এই অভিনেতাকে গ্লোবাল শান্তিদূত হিসেবেও নিযুক্ত করা হলো। কাজটি হয়েছে দেশটির ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ নামের একটি সংগঠন থেকে।
যদিও ঘটনাটিকে জায়েদ খানসহ অনেকেই গুলিয়ে বসে আছেন জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনও বিশেষ আয়োজন হিসেবে। অনেক অনুসন্ধানের পর বাংলা ট্রিবিউন এটুকু নিশ্চিত হতে পেরেছে। তবে জায়েদ খানের এই প্রাপ্তি বা স্বীকৃতি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে না হলেও সেটি খুব খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
একই অনুষ্ঠানে সম্মানিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে পাঠানো শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করা হয়।
পুরস্কার প্রদান ও সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে নৈশভোজের আয়োজন ছিল। যেখানে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিতরাই উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ৪০ জন ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, জানান জায়েদ খান।
এমন প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নায়ক বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে আমাকে যে সম্মাননা দেওয়া হলো, তাতে আমি আবেগাপ্লুত। এটি একটি দুর্লভ সম্মাননা। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না জীবনে এত বড় সম্মান আমি পাবো। এই সম্মান আমি ধরে রাখার চেষ্টা করবো। আমার এই অর্জন বাংলাদেশের প্রতি উৎসর্গ করলাম।’
এদিকে জাতিসংঘের ওয়বসাইটেও এই আয়োজন বা স্বীকৃতি প্রসঙ্গে কোনও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা যায়, জাতিসংঘের সঙ্গে এই আয়োজনের সরাসরি কোনও সংযোগ নেই। যদিও অনুষ্ঠানটি হয়েছে জাতিসংঘের সদর দফতরের কোনও এক অডিটোরিয়ামে। ফলে জায়েদ খানের এই ‘অতি প্রাপ্তি’র খবরটি এখনও অবিশ্বাসের চোখেই দেখছেন অনেকে। কারণ, এই প্রাপ্তির সঙ্গে জায়েদ খান যুক্ত করছেন ‘জাতিসংঘ’ নামটিও।