নতুন কোনও গল্পের সন্ধানে নির্মাতারা সারাক্ষণ চারপাশ খুঁজতে থাকে, নজর রাখে তীক্ষ্ণ। কারণ, মনগড়া গল্প এখন গোটা দুনিয়াতেই খানিকটা অচল। সে কারণেই সিনেমা হয়ে ওয়েব; বেশিরভাগ নির্মাণে এখন দেখা মেলে ‘বেজড অন আ ট্রু ইভেন্ট’!
যেমন দেশের অন্যতম নির্মাতা শিহাব শাহীন নিজেও দারুণ সব চমক দেখিয়েছেন সত্য ঘটনাকে পর্দায় তুলে ধরে। যার অন্যতম উদাহরণ ‘আগস্ট ১৪’, ‘মরীচিকা; কিংবা নির্মাণপ্রতীক্ষিত ‘রসু খাঁ’। নতুন খবর হলো, নির্মাতা এবার নিজের জীবনের একটি সত্য ঘটনা হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
ওয়েব সিনেমাটির নাম রেখেছেন ‘বাবা, সামওয়ান ফলোয়িং মি’। নামের কাছ থেকে টের পেতে পারেন পাঠকরা, শিহাব শাহীন ও তার সন্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা উঠে আসবে পর্দায়।
নির্মাতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার মেয়ে সফেন। অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনা করছে। একদিন রাতে ও আমাকে ফোন করে কথাটা বললো, বাবা সামওয়ান ফলোয়িং মি। তো এই লাইনটি এবং এর পেছনে ও সামনের ঘটনাগুলো আমাকে ভাবিয়েছে। আমার ভেতরের মানুষটা আমাকে বাধ্য করেছে, সেই আলোকে একটি গল্প তৈরির জন্য। তারই ফলাফল হতে যাচ্ছে এই সিনেমা।’
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জের জন্য নির্মিত হচ্ছে এই সিনেমা। যাতে বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন আফজাল হোসেন এবং মেয়ে তাসনিয়া ফারিণ। অস্ট্রেলিয়া টিমে দেশ থেকে আরও যাচ্ছেন খাইরুল বাশার। সেখান থেকে যুক্ত হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতাও।
একদিকে নিজের ও মেয়ের জীবনের গল্প পর্দায় তুলে ধরার চাপ, অন্যদিকে প্রথমবার আফজাল হোসেনকে নিজের টিমে যুক্ত করার আনন্দ; তাই শিহাব শাহীনের এই সময়টা বেশ শ্বাসরুদ্ধকর বলা চলে। তার ভাষায়, ‘এটা আফজাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। যেটা আমার কাছেই অবিশ্বাস্য লাগে। যেমনটা লাগতো ফরীদি ভাই (হুমায়ুন ফরীদি) প্রসঙ্গে। উনার সঙ্গে আমার দারুণ পরিচয় ছিলো। তিনি আমার কাজও পছন্দ করতেন। অথচ করবো করবো করে আমরা একসঙ্গে একটি কাজও করতে পারিনি। এরমধ্যে তো চলেই গেলেন। তো আফজাল ভাইকে নিয়েও তেমন পরিকল্পনা বা আক্ষেপ ছিলো। কিন্তু কাজটা আর করা হচ্ছিলো না। এবার আমার মেয়ের সুবাদে আফজাল ভাইকে পেলাম টিমে। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের। সব মিলিয়ে এই কাজটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল।’