শিল্প-সাহিত্যের প্রায় সবগুলো শাখায় দ্যুতি ছড়িয়ে গেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার অনন্ত সৃষ্টিকর্ম বিশুদ্ধ বাতাসের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে যুগ-যুগান্তরে। বাংলাদেশে কবির গান-কবিতার প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে একটি সংগঠন- বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। তাদেরই উদ্যোগে রবিঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে দু’দিনব্যাপী স্মরণানুষ্ঠান।
আগামী রবিবার, ২২ শ্রাবণ (৬ আগস্ট) কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস। এর আগের দুটি দিনকেই স্মরণের জন্য বেছে নিয়েছে সংস্থাটি। সে হিসেবে শুক্রবার (৪ আগস্ট) সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দিনের আয়োজন।
এ দিন সন্ধ্যা ছ’টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)-এর রিসার্চ বিল্ডিং মিলনায়তনে দলীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় স্মরণানুষ্ঠানের পরিবেশনা। এরপর সংস্থার শিল্পীদের একক পরিবেশনা মুগ্ধতা ছড়ায় উপস্থিত শ্রোতামনে। এছাড়া গান পরিবেশনায় ছিলেন আমন্ত্রিত শিল্পীরাও।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের গান আবহমান কালের বাঙালি সংস্কৃতির মূল ধারাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করেছে। রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের অবলম্বন। তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে চর্চার মাধ্যমেই আমরা অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়তে পারবো।’
‘মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’- এই প্রতিপাদ্যে শুরু হওয়া স্মরণানুষ্ঠানের প্রথম দিনে গান পরিবেশন করেছেন খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, তানজীনা তমা, আজিজুর রহমান তুহিন, রাকিবা খান লুবা, সুস্মিতা মণ্ডল, প্রজ্ঞা লাবনী, আক্তারুজ্জামান সবুজ, সুমাইয়া ফারাহ খান, নাসরিন আক্তার, বীণা দত্ত, নকুল চন্দ্র দাস, বর্ষা রাহা, শর্মিষ্ঠা সরকারসহ মোট ২৩ জন শিল্পী।
শনিবার (৫ আগস্ট) সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে থাকছে ২৬ জন শিল্পীর পরিবেশনা। একই স্থানে, একই সময়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।