এক নামে গোটা বিশ্বে পরিচিত তিনি। সংগীত ইতিহাসে জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হন। পপ সংগীতকে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাই সর্বকালের সেরা সংগীতশিল্পীদের তালিকায় প্রথম সারিতে তার অবস্থান। হ্যাঁ, তিনি মাইকেল জ্যাকসন। যাকে সবাই ‘কিং অব পপ’ নামে অভিহিত করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মার্কিন মাইকেল জ্যাকসনের জন্মদিন। ১৯৫৮ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের গ্যারি শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বেঁচে থাকলে ৬৬তম বছরে পা রাখতেন এই কিংবদন্তি মিউজিশিয়ান। তবে পৃথিবী ছেড়ে তিনি চলে গেলেও তার অবিস্মরণীয় সব গান মানুষের মনে গেঁথে আছে। তাই বিশেষ দিনে ভক্তরা তাকে স্মরণ করছে নিখাদ ভালোবাসায়, প্রিয় সব গানে।
মাইকেল জ্যাকসনকে ঘিরে বিস্ময় আর রহস্যের অন্ত নেই। এমন সব কাণ্ড তিনি করে গেছেন, যা আজও চমকে দেয় মানুষকে। জন্মদিন উপলক্ষে তাই তার সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য রইলো এ আয়োজনে...
গান দিয়ে ততো দিনে বিশ্ব জয় করে ফেলেছেন তিনি। গড়েছেন অর্থ-সম্পদের পাহাড়। হঠাৎ মনে হলো, স্পাইডার-ম্যান হবেন! নিজের মতো করে এই কমিক চরিত্র পর্দায় তুলে ধরবেন। ১৯৯০-এর মার্ভেল কমিকস চরম দুর্দশায় পড়ে গিয়েছিল। মূলত তখনই জ্যাকসনের মাথায় ভাবনা আসে, তিনি মার্ভেল কমিকস কিনবেন এবং স্পাইডার-ম্যান বানাবেন। যদিও তার ভক্ত এবং প্রযোজকদের অনেকেই এই বিষয়টির ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আর স্পাইডার-ম্যান হওয়া হয়নি জ্যাকসনের।
১৯৭৯ সালের ঘটনা। সবে তার ‘অফ দ্য ওয়াল’ অ্যালবামটি প্রকাশ হয়েছে। নাচের অনুশীলন করতে গিয়ে আহত হন মাইকেল। তার নাক ভেঙে যায়। ঠিক এই কারণেই বাধ্য হয়ে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে জীবনের প্রথম পারফর্মেন্সে অংশ নিয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। ১৯৬৪ সালে তার বড় ভাইয়েরা মিলে একটি ব্যান্ড গঠন করে; ‘জ্যাকসন ৫’ নামের সেই ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন তিনিও। প্রায় সাত বছর ভাইদের সঙ্গে গান করার পর ১৯৭১ সালে ‘মোটাউন রেকর্ডস’র মাধ্যমে একক ক্যারিয়ারে নজর দেন তিনি।
‘কিং অব রক’ খ্যাত এলভিস প্রিসলির কন্যা লিসা ম্যারি প্রিসলিকে বিয়ে করেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। ১৯৯৪ সালের সেই বিয়ে অবশ্য বেশি দিন টেকেনি। দুই বছর পরই তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন।
মাইকেল জ্যাকসনের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘স্ক্রিম’। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশ হয়েছিল। গানটির ভিডিও বানাতে ৭০ লাখ ডলার ব্যয় করেছিলেন তিনি। যার ফলে সর্বকালের অন্যতম ব্যয়বহুল মিউজিক ভিডিও এটি।
২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়। লন্ডনে তার পরবর্তী কনসার্টের সব আয়োজন সম্পন্ন, টিকিটও বিক্রি শেষ। এর মধ্যেই ২৫ জুন মারা যান মাইকেল জ্যাকসন। মুহূর্তেই থমকে যায় বিশ্বের সংগীতাঙ্গন। খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয় মার্কিন গণমাধ্যম ‘টিএমজেড’-এ। পাঠকের চাপে তাদের ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করে। শুধু তাই নয়, সার্চ ইঞ্জিন গুগল পর্যন্ত আধা ঘণ্টার জন্য সাইবার জটিলতায় ছিল।
সূত্র: ফ্যাক্টস ডট নেট