আইএফএফএসএ টরন্টো। উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবটিকে ধরা হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সিনেমা আসর হিসেবে। সেখানে এবার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ‘মেঘনা কন্যা’।
১২ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই উৎসবের অংশ হিসেবে ১৫ অক্টোবর টরন্টোর স্থানীয় মাল্টিপ্লেক্সে হবে ছবিটির প্রদর্শনী। মূলত এই প্রদর্শনীর মাধ্যমেই ছবিটিকে উন্মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বিশ্বজুড়ে। এমনটাই জানান নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী। ছবিটির অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ।
ব্যক্তি দ্বন্দ্বের কঠিন বিষয়কে অত্যন্ত সাবলীল উপায়ে সরল গল্পের মাধ্যমে ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গে ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘‘ডকুফিকশনের কাজ করতে গিয়ে এমন অনেক গল্পের মুখোমুখি হয়েছি, যেগুলো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছাড়া বলা সম্ভব না। ‘মেঘনা কন্যা’ তেমনই একটা গল্প। নারী পাচারের মতো একটি কঠিন বিষয়কে একদিকে যেমন দর্শকের সামনে উপস্থাপন করছি; একই সাথে গ্রামীণ পটভূমিতে বলা এ গল্পে রয়েছে দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদন।’’
ছবিটির প্রযোজনা করেছেন কাজী সাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার আজাদ। সহযোগিতায় আছে সুইজারল্যান্ড এবং টেলিভিশন পার্টনার দীপ্ত টিভি।
পূর্ণদৈর্ঘ্যে আসার আগে ফুয়াদ চৌধুরী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুফিকশন নির্মাণ করেছেন। যেগুলো দেশে ও বিদেশে হয়েছে প্রশংসিত, পেয়েছে পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্র ‘মারসিলেস মেহেম- দ্য বাংলাদেশ জেনোসাইড থ্রো পাকিস্তানি আইজ’। যেখানে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের ওপর চালানো পাকিস্তানি আর্মির গণহত্যাকে দেখানো হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য দলিল হিসেবে সুধীজনেরা মনে করেন। এছাড়া ১৯৭৭ সালের ওপর নির্মিত একটি ডকুফিকশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রদর্শন করেছেন। সেটিও পেয়েছে প্রশংসা।