এখনও আইসিইউতে ফারুকী, তবে বিপদমুক্ত

দু’দিন পর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সম্পর্কে স্বস্তির খবর মিললো। জানা গেছে, চিকিৎসকের ভাষায় তিনি এখন বিপদমুক্ত। কিছু দিন বিশ্রামের পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে এমন তথ্য জানালেন তার স্ত্রী, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিশা জানান, ফারুকীকে এখনও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। সেখানে আরও একদিন রাখার পর সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। অথবা তার অবস্থা বুঝে বাসায়ও পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে তিশা সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে হাসপাতালে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যায়, ফারুকীর হাত ধরে রয়েছেন তিনি। ছবির সঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, ‘প্রতিটা মানুষের জীবনে মেঘ আসে, আবার চলেও যায়; শুধু একটু ধৈর্য ধরতে হয়। আপনাদের দোয়ায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এখন বিপদমুক্ত। আলহামদুলিল্লাহ। কিছু দিন বিশ্রামের প্রয়োজন। তারপর আবারও সে কাজে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।’

দু’দিন ধরে অনেকেই তিশার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, ফারুকীর খবর জানার জন্য। সবাইকে সাড়া দিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে এমন ভালোবাসার জন্য জানিয়েছেন ধন্যবাদ।

নুসরাত ইমরোজ তিশাগত সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর মধ্যরাতে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা শেষে জানা যায়, ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে তার। তাই আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে বলা হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশি সিনেমার উজ্জ্বলতম পোস্টার। তার হাত ধরেই বিদেশের উৎসব-আয়োজনগুলোতে দেশের সিনেমার অংশগ্রহণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। এছাড়া নির্মাণে তিনি বরাবরই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। জন্ম দিয়েছেন সমালোচনারও।

ফারুকীর নির্মিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘টেলিভিশন’, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’, ‘ডুব’, ‘শনিবার বিকেল’ ইত্যাদি। এর বাইরে নাটকেও তিনি অনন্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চরকি অ্যাপে মুক্তি পাওয়া তার শেষ সিনেমা ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি’ দিয়েও প্রশংসা কুড়ান নির্মাতা। যেখানে তিনি এবার তুলে ধরেছেন নিজ ঘরেরই গল্প। যে গল্পে পর্দার নায়ক খোদ তিনি, নায়িকা তিশা আর কেন্দ্রে ছিল তাদের সন্তান ইলহাম। 

বলা জরুরি নয়, তবু বলা। শেষ ছবিটিতে ফারুকী প্রথমবার হাজির হয়েছেন পর্দায়।  ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি’তে তিশা ও ফারুকী