পলাশের রঙে এসেছে ফাগুন। এমন অপূর্ব দিনে আবার ভ্যালেন্টাইনস ডে। বুধবারের (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনটা তাই একটু বেশিই বিশেষ। আর সেই বিশেষ দিনে এমন কিছু সিনেমার খবর জানা যাক, যেগুলো কালের সীমানা জয় করে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকের হৃদয়ে, ইতিহাসের পাতায়। আর ছবিগুলোর মূল বিশেষত্ব হলো, এগুলোর সবই প্রেম-ভালোবাসা কেন্দ্রিক গল্পে নির্মিত।
সর্বকালের সেরা ৫০ রোমান্টিক সিনেমার তালিকা…
ক্যাসাব্লাঙ্কা
১৯৪২ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ক্লাসিক সিনেমা। বলা হয়, বিংশ শতাব্দীতে এই ছবিই মানুষকে শিখিয়েছিল, কীভাবে প্রেমে পড়তে হয়, ভালোবাসতে হয়। এটি নির্মাণ করেছিলেন মাইকেল কার্টিজ। অভিনয়ে করেছেন হাম্ফেরি বোগার্ট, ইনগ্রিড বার্গম্যান, পল হেনরিড, ক্লাউডি রেইনস, কনরাড ভেইদ, পিটার লরে প্রমুখ।
টাইটানিক
রোমান্টিক ছবির কথা উঠলেই সবার মাথায় প্রথমেই এই ছবির নাম চলে আসে। জেমস ক্যামেরনের অবিস্মরণীয় এক সৃষ্টি এটি। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই কালজয়ী সিনেমা। বক্স অফিস থেকে শুরু করে অস্কারের মঞ্চ, সবখানেই রেকর্ড গড়েছিল ছবিটি। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট। ২৭ বছর পেরিয়ে তাদের রসায়ন এখনও দর্শককে মুগ্ধ করে।
প্রায় সত্তর বছর আগের ছবি এটি। অথচ ভালোবাসার অনবদ্য উপস্থাপনায় এখনও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ছবিটি মক্তি পেয়েছিল ১৯৫৫ সালে। এটি নির্মাণ করেছিলেন আলফ্রেড হিচকক। ছবিতে আছেন ক্যারি গ্র্যান্ট, গ্রেস কেলি, জেসি রয়েস, জন উইলিয়ামস প্রমুখ। ডেভিড ডজের লেখা ‘টু ক্যাচ আ থিফ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছিল।
মউলিন রুজ
প্রেম আর গানের অনবদ্য উপস্থাপনা এই ছবি। নির্মাণ করেছিলেন বাজ লারম্যান। এতে অভিনয় করেছেন নিকোল কিডম্যান, এওয়ান ম্যাকগ্রেগর, জন লেগুইজামো, রিচার্ড রক্সবার্গ প্রমুখ। ২০০১ সালের ১ জুন ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। ৫০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই ছবি বক্স অফিসে আয় করেছিল ১৭৯ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সাম্প্রতিক কালের অন্যতম সেরা রোমান্টিক সিনেমা বলা হয় এটিকে। মুক্তি পেয়েছে ২০১৮ সালে। এই ছবির মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয়েছে ব্র্যাডলি কুপারের। ছবিতে নির্মাতা ব্র্যাডলি কুপারের সঙ্গে আরও আছেন লেডি গাগা, অ্যান্ড্রু ডাইস ক্লে, ডেভ চ্যাপেল, স্যাম ইলিয়ট প্রমুখ। ৩৬ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত ছবিটির বক্স অফিস কালেকশন ৪৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ছবির সাউন্ডট্র্যাক ছয় মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল। এই ছবির জন্য একই বছরে অস্কার, গ্র্যামি, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড অর্জনের বিরল রেকর্ড গড়েন লেডি গাগা।
ব্রিফ এনকাউন্টার
১৯৪৫ সালের সিনেমা। কিন্তু গল্প, নির্মাণ আর অভিনয়শৈলিতে এখনও প্রাসঙ্গিক। ব্রিটিশ এই রোমান্টিক ছবি নির্মাণ করেছিলেন ডেভিড লিন। নোয়েল কাউওয়ার্ডের লেখা ‘স্টিল লাইফ’ নাটক অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন সিলিয়া জনসন, ট্রেভর হাওয়ার্ড, স্ট্যানলি হলওয়ে প্রমুখ।
নামে ভূত, অথচ ছবিটা রোমান্টিক! ১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই কালজয়ী ছবি। সুপারন্যাচারাল গল্পের ছবিটি ভয়ের উর্ধে গিয়ে প্রেমের অনন্য অনুভূতি দিয়েছে দর্শককে। জেরি জাকার নির্মিত এই ছবিতে আছেন প্যাট্রিক সোয়েজ, ডেমি মুর, হুপি গোল্ডবার্গ প্রমুখ। মাত্র ২২ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত ছবিটি বক্স অফিসে আয় করেছিল ৫০৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি!
ব্রোকব্যাক মাউন্টেন
দুজন মার্কিন কাউবয়ের মধ্যকার জটিল রসায়নের গল্প এটি। নির্মাণ আর অভিনয়ের গুণে ছবিটি সাড়া পেয়েছিল। ছবিটি নির্মাণ করেছেন অ্যাং লি। এতে অভিনয় করেছেন হিথ লেজার, জ্যাক গ্যালেনহাল, অ্যানি হ্যাথওয়ে ও মিশেল উইলিয়ামস। এটি মুক্তি পেয়েছে ২০০৫ সালে।
দ্য আমব্রেলাস অব চেরবর্গ
এই ছবি পর্দায় এসেছিল ১৯৬৪ সালে। ফরাসি ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন জ্যাকুস ডেমি। এতে অভিনয় করেছেন ক্যাথরিন ডেনিউভ, অ্যানি ভার্নন, নিনো ক্যাসেলনুভো প্রমুখ। ২০১৮ সালে এটি বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের সেরা নন-ইংলিশ ১০০ সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল।
৮৫ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৩৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। মারগারেট মিশেলের লেখা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। পরিচালনা করেছিলেন ভিক্টর ফ্লেমিং। অভিনয় করেছেন ক্লার্ক গেবল, ভিভেন লেই, লেসলি হাউওয়ার্ড প্রমুখ।
তালিকায় থাকা পরবর্তী ৪০টি সিনেমার নাম যথাক্রমে: রোমান হলিডে (১৯৫৩), জেরি ম্যাগুইর (১৯৯৬), অ্যানি হল (১৯৭৭), দ্য ‘বিফোর’ ট্রিলজি (১৯৯৫, ২০০৪, ২০১৩), বনি অ্যান্ড ক্লাইড (১৯৬৭), সিটি লাইটস (১৯৩১), মুনস্ট্রাক (১৯৮৭), ইন দ্য মুড ফর লাভ (২০০০), অ্যান অফিসার অ্যান্ড আ জেন্টলম্যান (১৯৮২), দ্য অ্যাপার্টমেন্ট (১৯৬০), মুনলাইট (২০১৬), সিড অ্যান্ড ন্যানসি (১৯৮৬), দ্য রিমেইনস অব দ্য ডে (১৯৯৩), আ স্টার ইজ বর্ন (১৯৫৪), দ্য আনবিয়ারেবল লাইটনেস অব বিয়িং (১৯৮৮), আউট অব সাইট (১৯৯৮), ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪), ইটারনাল সানশাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড (২০০৪), লা লা ল্যান্ড (২০১৬), ভার্টিগো (১৯৫৮), কল মি বাই ইউর নেইম (২০১৭), লাভ অ্যান্ড বাস্কেটবল (২০০০), বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট (১৯৪৬), পাস্ট লাইভস (২০২৩), দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড (১৯৮৭), সানরাইজ: আ সং অব টু হিউম্যানস (১৯২৭), দ্য বডিগার্ড (১৯৯২), ক্যারোল (২০১৫), দ্য ওয়ে উই ওয়্যার (১৯৭৩), সে অ্যানিথিং (১৯৮৯), মিসিসিপি মাসালা (১৯৯১), প্রিটি উইমেন (১৯৯০), ওয়ান্স (২০০৭), দ্য সাউন্ড অব মিউজিক (১৯৬৫), অল দ্যাট হ্যাপেন অ্যালাউস (১৯৫৫), দ্য নোটবুক (২০০৪), দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি (১৯৯৫), স্প্ল্যাশ (১৯৮৪), ট্রাবল ইন প্যারাডাইজ (১৯৩২), ডার্টি ড্যান্সিং (১৯৮৭)।