নায়িকা কিংবা মহানায়িকা, যা-ই বলা হোক না কেন, বাঙালির মনে সবসময় তার মুখছবিই ভেসে ওঠে। তিনি সুচিত্রা সেন। ডাগর চোখ, স্নিগ্ধ হাসি আর নজরকাড়া অভিনয়ে যে মুগ্ধতার বীজ বুনে গেছেন, তা এখনও সতেজ বৃক্ষের মতো বিলিয়ে যাচ্ছে অনিন্দ্য ছায়া।
নায়িকা সুচিত্রা সেনের কথা সবারই জানা। কিন্তু আরও একটি প্রতিভা ছিল তার। যেটার খবর খুব কম মানুষই জানতেন। সেটা হলো গায়কী। হ্যাঁ, গান গাইতে পারতেন সুচিত্রা। শুটিং সেটে হরহামেশাই গুনগুন করতেন। সেই প্রতিভা কেবল একবার এসেছিল প্রকাশ্যে, রেকর্ড হয়ে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আজতাক বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেলো, সুচিত্রা সেনকে দিয়ে গান গাওয়ানোর অসাধ্য সাধন করেছিলেন গীতিকবি গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার। সেই গানের নাম ‘বনে নয় আজ মনে হয়’। ১৯৫৯ সালে বাজারে এসেছিল রেকর্ডটি।
ওই গানে সুর দিয়েছিলেন রবীন চট্টোপাধ্যায়। গানটি প্রকাশের পর বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছিল। অভিনয়ের মতো গায়কী দিয়েও মুগ্ধ করেছিলেন সবাইকে। কিন্তু সেটাই ছিল তার প্রথম ও শেষ গান।
শোনা যায়, মহানায়িকা নিজেই চাইতেন না, অন্য কোনও পরিচয় তার নামের পাশে যুক্ত হোক। আর নিজের ইচ্ছের বাইরে গোটা জীবনেও কিছু করেননি। তাই আর কখনও গানে পাওয়া যায়নি সুচিত্রাকে।
হঠাৎ সুচিত্রা সেনের প্রসঙ্গ অবতারণার কারণ, আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) তার জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে তার পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে। ১৯৪৭ সালে বিয়ে হয় সুচিত্রার। এর পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ১৯৫২ সালে সিনেমা জগতে আসেন তিনি। এই বছরই মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম সিনেমা ‘শেষ কোথায়’। এরপর দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করে মহানায়িকা খ্যাতি পান।