এই সেই কৃষ্ণচূড়া গাছ। যা আজ সোমবার দুপুর ২টা নাগাদ মৃত্যুদূত হয়ে দেখা দিয়েছিল রাজধানীর ধানমন্ডি-৪ এর সড়কে। যে গাছটির কাছে চিরদিনের জন্য আত্মসমর্পণ করলেন নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গুণী চিত্রশিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠু।
আরও জানা যায়, গাছটি রাস্তার উপর আছড়ে পড়ার পর আসেপাশের অনেকেই ছুটে এসে গাছের নিচ থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করেন খালিদ মাহমুদ মিঠু এবং রিকশা চালককে। দুজনকেই তাৎক্ষনিকভাবে নিয়ে যাওয়া হয় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বেলা আড়াইটা নাগাদ ফিরিয়ে দেন খালিদ মাহমুদ মিঠুর মরদেহ। চিকিৎসা চলছে আহত রিকশা চালকের।
এদিকে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা মর্মান্তিক ঘটনা। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তবে তার আগে গাছটিকে রাস্তার উপর থেকে সরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।’
খালিদ মাহমুদ মিঠুর জন্ম ১৯৬০ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৬ সালে তিনি এমএফএ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘গহীনে শব্দ’। প্রথম ছবিই তাকে এনে দেয় শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ‘জোনাকির আলো’ নামে তিনি আরেকটি ছবি নির্মাণ করেও বেশ প্রশংসা কুড়ান। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ পায় ছবিটি।
তার স্ত্রী কনকচাঁপা চাকমা চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাদের দুই সন্তান শিরোপা পূর্ণা ও আর্য শ্রেষ্ঠ।