বাংলা ও বাঙালির অস্তিত্বে মিশে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী ছিল গতকাল (৮ মে)। দেশজুড়ে পালিত হয়েছে দিনটি। আর আজ (৯ মে) থেকে শুরু হচ্ছে তার গানে সাজানো দেশের বৃহত্তম আয়োজন ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’। যেটা দীর্ঘ চার দশক ধরে নিয়মিত হয়ে আসছে।
বরাবরের মতো বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে হচ্ছে তিন দিনব্যাপী উৎসবটি। ৯ থেকে ১১ মে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে হবে এই উৎসব।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এর ৩৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি থাকবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধনী আয়োজনে থাকছে জাতীয় সংগীত, দুটি দলীয় সংগীত ও প্রদীপ প্রজ্বালন।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ শুরু হবে প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন। এই পর্বে থাকছে আলোচনা অনুষ্ঠান, সংগীত পরিবেশনা ও আবৃত্তি। এছাড়া শিবলী মহম্মদ ও শামিম আরা নীপার পরিচালনায় নৃত্যায়োজন থাকবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে।
এবারের রবীন্দ্রসংগীত উৎসব একটু বিশেষ এবং বেদনার বটে। কারণ কিছু দিন আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন রবিগানের কিংবদন্তি শিল্পী সাদি মহম্মদ। এছাড়া আরেক নন্দিত শিল্পী কলিম শরাফীর শততম জন্মবার্ষিকী ছিলো ৮ মে। দুই কিংবদন্তিকে গান-আবৃত্তিতে সুরের আবেশে স্মরণ করা হবে এবারের উৎসবে।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে (১০ মে) থাকছে দুটি অধিবেশন। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে প্রথম পর্ব। জাতীয় সংগীত ও দলীয় পরিবেশনায় সাজানো পর্বটি শেষ হবে সাড়ে ১২টায়। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বিকাল ৫টায়। থাকবে দলীয় ও একক পরিবেশনা।
১১ মে বিকাল ৫টায় শুরু হবে উৎসবের সমাপনী আয়োজন। এদিন থাকবে সাদি মহম্মদের গড়া সংগঠন রবিরাগের দলীয় পরিবেশনা। পাশাপাশি থাকছে কবিতা আবৃত্তি।