বৈশাখ শেষে তার রুদ্রতার মাঝেই একটা সন্ধ্যা শীতল হয়ে ধরা দিলো যেন। বাইরে প্রকৃতিতে রুক্ষতা, বৃষ্টিহীন। কিন্তু ভেতরে শান্ত নীরব শীতলতা ছুঁয়ে যাওয়া হিমহিম। শুক্রবার (১৭ মে) ছুটির দিনে একটু রাত করে সময় দেওয়া ছিলো। গান গাইবে জয়িতা, রাত ৮টা থেকে, বনানীর যাত্রা বিরতির নতুন ঠিকানায়।
কয় দিন ধরেই ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো যাত্রা বিরতিতে ‘টেগোর্স টেলস’ অনুষ্ঠানে গান গাইবে শিল্পী জয়িতা। তাও আবার টিকেট কেটে রবীন্দ্রসংগীত। আরও অবাক করে দিয়ে শোয়ের আগের দিনের ঘোষণা—সব টিকেট শেষ।
আসলেই? শুক্রবার রাত ৮টায় ভরে উঠেছে পুর অনুষ্ঠানস্থল। পেছনের দিকে মাত্র কয়েকটি চেয়ার মোড়া ছাড়া প্রায় সবাই বৈঠকী আমেজে মেঝেতে বসে পড়েছেন গান শুনবেন বলে। মঞ্চে জয়িতা এলেন তার তিনজন যন্ত্রশিল্পী নিয়ে। গিটারে আহরাফ খান অনিক, তবলা ও পারকাশনে রাফিউল হক অন্তর, কিবোর্ড রোকন ইমন, ও এসরাজে আশিকুল আবীর।
এরপরের দেড়ঘন্টা জয়িতা এঁকে গেলেন রবির ছবি—কখনও বাল্মীকি প্রতিভা, কখনও মায়ার খেলা, কখনও প্রেম। আশেপাশে জয়িতাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন যারা, গানের কোনও মীড় শুনে বলছেন—আহা একদম মিতার পরে এমন শুনলাম। এরমধ্যে অনেকটা বন্ধু স্বজনদের আবদার—কবিতা পড়ে শোনাতে হবে। সেটিও হলো।
তখন এ দিনের মতো আঁকা প্রায় শেষ। সুরেলা কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান আর বাণীর এক মহাসম্মিলন হলো যেন। এই রেশে শেষ হলো। টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে জয়িতা আগের দিনই জানিয়েছেন, শিগগির আবার ফিরবেন এরকম আয়োজন নিয়ে।
ছবি: উদিসা ইসলাম