যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন এমা!

এমা ওয়াটসনসফল তারকাদের কথা বলতে গেলে এমা ওয়াটসনের কথা বলতেই হয়। ১৯৯০ সালে প্যারিসে জন্ম এমার। পরে মায়ের সাথে চলে আসেন অক্সফোর্ডশায়ারে। তার মঞ্চ প্রশিক্ষক এমার মাঝে প্রতিভা দেখতে পান এবং ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার’স স্টোন’-এর জন্য তাঁকে সুপারিশ করেন।
এমা’র বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। এরপর তার জীবন কেবল এক সফলতার ইতিহাস। কিন্তু তিনিও যে জীবনে কখনও বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তা-ই তিনি জানালেন এসকোয়ার ম্যাগাজিনের সাথে এক কথপোকথনে।
তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের টাকা-পয়সা নিয়ে কথা বলা যাবে না, কারণ মানুষ মনে করে আপনি ‘কঠিন’ বা ‘বিশেষ’। কিন্তু এখন সময় এসেছে, আপনি আমাকে ‘উগ্র-নারীবাদী’, ‘কঠিন’, অথবা ‘প্রথম বিশ্বের নারীবাদী’ বলতে পারেন। কিন্তু তা আমাকে আমার কাজ থেকে সরাতে পারবে না। কারণ আমার ওপর এসবের কোনও প্রভাব পড়ে না।’’
এমা আরও বলেন, ‘একজন নারী কেনিয়ার রাবার বাগানেই কাজ করুক, অথবা ওয়ালস্ট্রিটে অথবা তিনি হলিউডের নায়িকাই হোন না কেন, তিনি পুরুষের সমান মজুরি পান না।’ ২০১৪ সালে তিনি একটি মানবাধিকার সংগঠন গড়ে তোলেন ‘হিফোরশি’ নামে। সে বছর জুন থেকে এমা ওয়াটসন জাতিসংঘের নারীবিষয়ক কর্মকাণ্ডের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন, যেখানে নারী ও মেয়েদের অধিকার নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি।
এমা তার ওপর যৌন নিগ্রহের অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার একটি রুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় কেউ আমার শরীরের হাত দেয়। আমি বাড়িতে হাঁটার সময়েও ভয়ে ভয়ে থাকতাম। লোকজন আমাকে অনুসরণ করতো। আমি এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব বেশি বলিনি, কারণ আমি এসব কথা বললে তাদের জন্য এটা বড় বিষয় হিসেবে সামনে আসবে। কিন্তু আমি জানি বেশিরভাগ নারীই এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। অথবা এর থেকেও তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন।’  
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে এমা মনে করেন, বেশি সংখ্যক পুরুষকে এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা।


সূত্র: এনডিটিভি।

/এসএ/এম/