ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় সমাহিত মিঠু

শিশির ভট্টাচার্য ও বিপাশা হায়াতসহকর্মী-স্বজনরা সজল চোখে চিরবিদায় জানালেন নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠুকে। আজ (বুধবার) দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে বনানী করবস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। এসময় তাকে শেষবিদায় জানাতে তার প্রিয়জনরা সেখানে উপস্থিত হন।
এর আগে সকালে স্কয়ার হাসপাতালের হিমাগার থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান দেশের সর্বস্তরের মানুষেরা। এর ঘণ্টাখানেক পর মরদেহ আনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে। জোহরের নামাজের পর বিএফডিসিতে রাখা হয়। তারপর চ্যানেল আই ভবনে প্রয়াতের দেহ নিয়ে আসা হয়। মিঠুর প্রিয় এ স্থানগুলোতেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময়গুলোতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন মোরশেদুল ইসলাম, লিয়াকত আলী লাকী, ক্যাথরিনা মাসুদ, শিশির ভট্টাচার্য, চঞ্চল মাহমুদ, বিপাশা হায়াত, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এস এ হক অলীকসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।চারুকলায় মোরশেদুল ইসলাম শ্রদ্ধা জানান
কৃতী এ চলচ্চিত্রকার সোমবার দুপুরে মারা যান। রাজধানীর ধানমন্ডি-৪ এর সড়কে কৃষ্ণচূড়া গাছ শেকড় উপড়ে তার গায়ের উপর পড়ে। এসময় তিনি রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। তাকে হাতপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এদিন বাদ এশা প্রথম জানাজা মৃতের ধানমন্ডির বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিঠু ১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বড় হয়েছেন মামা প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা প্রয়াত আলমগীর কবিরের কাছে। তার মা বেগম মমতাজ হোসেন বিখ্যাত নাট্যকার।

চিত্রশিল্পী হিসেবে মিঠুর খ্যাতি তো ছিলই। সঙ্গে তার নির্মিত চলচ্চিত্র, নাটক, টেলিছবি এবং অসংখ্য মিউজিক ভিডিও প্রশংসিত হয়েছে। ২০১০ সালে প্রথম চলচ্চিত্র ‌‌'গহীনে শব্দ'-এর জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এর চার বছর পর তিনি তৈরি করেন ‌‌'জোনাকীর আলো' চলচ্চিত্র।চারুকলায় সহকর্মীদের শ্রদ্ধা
শ্রদ্ধা জানান ক্যাথরিন মাসুদ

বিএফডিসিতে জানাজার আগে


বিএফডিসিতে জানাজার দৃশ্য।

ছবি তুলেছেন সাজ্জাদ হোসেন

/এমআই/এম/