আরজি কর কাণ্ডের সূত্র ধরে এখনও ভারত উত্তাল। শুধু কলকাতায় নয়, দেশের বিভিন্ন পান্তে আরও বেশকিছু ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও মিছিল চলছে। এরই মাঝে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি সাংসদ, অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।
বলে বসলেন, ‘যদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিত, তাহলে ভারত এতদিনে বাংলাদেশ হয়ে যেত।’
সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্স-এ উঠে এসেছে কঙ্গনার এই ভিডিও বক্তব্য। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে, সেটা এদেশে ঘটতেও দেরি হতো না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাতো। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক মৃতদেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে, সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।’
বলা দরকার, বরাবরই কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনা নানান মন্তব্য করে আসছেন। এমনকি কঙ্গনা একবার বলেও বসেছিলেন, যে কৃষকরা আন্দোলনে বসেছেন, তারা ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন। আর তার এধরনের মন্তব্যের কারণেই সাংসদ হওয়ার পর চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এক কৃষক সন্তান জওয়ানের হাতে চড় খেয়েছিলেন কঙ্গনা!
এদিকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনার নতুন সিনেমা ‘এমার্জেন্সি’। সম্প্রতি এই সিনেমার প্রচারে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়েও বিতর্কে জড়ালেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘‘গান্ধী পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণেই ইন্দিরা নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন।ইন্দিরা হলেন, ভারতীয় রাজনীতির ‘স্টারকিড’।’’
এদিকে ‘এমার্জেন্সি’কে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ভারতের ‘শিরোমণি গুরু দ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’-র সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি। তার অভিযোগ, কঙ্গনার এই ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে। এমনিতেই এর আগে শিখবিরোধী মন্তব্যের জন্য শিখ সম্প্রদায়ের রোষানলের মুখে পড়েছিলেন কঙ্গনা। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল তখন।
বাকিটা দেখা যাবে ৬ সেপ্টেম্বর ভারতসহ বিশ্বের নানান দেশের প্রেক্ষাগৃহে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস