সপ্তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হাতে পাওয়ার বিষয়টিকে প্রাপ্তির বৃত্ত পূর্ণ করার সঙ্গে তুলনা করলেন এ আর রাহমান। ৮ অক্টোবর নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে বিজয়ীরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
২০২২ সালে ভারতে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র থেকে সেরা কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয় এদিন। এতে অস্কারজয়ী এ আর রাহমানকে ‘সেরা সংগীত’ বা ‘ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর’ বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে। মনি রত্নমের ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’ সিনেমার জন্য তিনি এই পুরস্কার হাতে পান। এটি আবহ সংগীতের জন্য রাহমানের দ্বিতীয় জাতীয় প্রাপ্তি। তবে মোট মিলিয়ে সপ্তম।
পুরস্কার গ্রহণের পর লালগালিচায় দাঁড়িয়ে এ আর রাহমান বলেন, ‘‘এটা যেন প্রাপ্তির বৃত্ত পূর্ণ করা। আমি প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম ‘রোজা’র জন্য, যা বানিয়েছিলেন মনি রত্নম। এই পুরস্কারও তার জন্যই পাওয়া। আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। তিনি নিজেও এখানে আছেন।’’
এ আর রাহমান এবং মনি রত্নম একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘থিরুদা থিরুদা’, ‘বোম্বে’, ‘দিল সে’, ‘আলাইপায়ুথে’, ‘গুরু’, ‘রাবণান’ এবং ‘ও কাধাল কানমানি’। এই জুটির মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘থাগ লাইফ’। যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন কমল হাসান।
এদিকে ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন ঋষভ শেঠি (সেরা অভিনেতা), নিত্য মেনন এবং মানসি পারেখ (সেরা অভিনেত্রী), সুরজ বরজাতিয়া (সেরা পরিচালক), নীনা গুপ্তা (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী) এবং পবন মালহোত্রা (সেরা পার্শ্ব অভিনেতা)। ঋষভ শেট্টি তার ‘কান্তারা’ ছবির জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন, যেখানে নিত্য এবং মানসি ‘তিরুচিত্রাম্বালম’ এবং ‘কচ্ছ এক্সপ্রেস’ চলচ্চিত্রে তাদের পারফরম্যান্সের জন্য যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছেন। নীনা গুপ্তা ‘উঁচাই’ ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন, যা সুরজ বরজাতিয়াকে সেরা পরিচালকের সম্মানও এনে দিয়েছে। পবন মালহোত্রা ‘ফৌজি’ ছবির জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।
এছাড়া এবার ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও: এ আর রাহমানের মুখে লালন ফকির থেকে শেখ হাসিনা...