বিমানবন্দরের কাছাকাছি নতুন পাঁচ তারকা হোটেল লা ম্যারিডিয়ান। গেল ক’দিন ধরে এটি যেনো সেজে আছে ঢাকার মাঝে এক টুকরো ‘ভারত’ রূপে। কারণ, প্রথমে কলকাতার শ্রাবন্তী, পরে জিৎ এবং সবশেষে এখানে অস্থায়ী বাসা বেঁধেছেন ইরফান খান, পার্ণো মিত্র এবং তাদের সহযোগিরা।
রাত আটটার একটু পরে শরীরে সাদা শার্ট ঝুলিয়ে নিজের রূম ছেড়ে অনুষ্ঠানস্থলে খুব নীরবে আসলেন ইরফান খান, যার জন্য উপস্থিত সবার অস্থির অপেক্ষা। অনেকটা বাধাহীনভাবে হেঁটে গিয়ে মঞ্চের সামনের টেবিলে গিয়ে বসলেন ইরফান। অথচ তার উপস্থিতি টেরই পেলেন না গণমাধ্যমকর্মীরা! খানিক পরে টের পেয়ে মৌচাক বনে গেলেন তিনি আর মৌমাছি সংবাদকর্মীরা। স্বাভাবিক। তেমটাই তো ঘটার কথা।
‘মহরত’ এর ছোট্ট পর্ব শেষে বক্তব্য পর্বের শুরুটা করে দিলেন ছবিটির অন্যতম প্রযোজক আব্দুল আজিজ। বললেন, ‘আমাদের (জাজ মাল্টিমিডিয়া) প্রথম টার্গেট ছিল বাংলাদেশের মার্কেট। তা আমরা পেয়েছি। এরপর কলকাতার মার্কেট। সেটাও পাওয়ার পথে এখন। আমাদের তৃতীয় টার্গেট ছিল বলিউড। আশা করি ওটাও আগামী দু’বছরের মধ্যে পেয়ে যাবো। এবং আগামী পাঁচ বছরের ভেতরে আমরা হলিউডের মার্কেটে প্রবেশ করব।’
এদিকে একটু পরেই মুখ খুললেন ইরফান খান। জানালেন, ফিল্ম স্কুল থেকে পাশ করার পর কলকাতা থেকে অনেকগুলো বাংলা সিনেমার অফার পেয়েছিলেন, কিন্তু করা হয়নি। পরবর্তীতে আর কোনও বাংলা ছবি কিংবা ফারুকীর অন্য কোনও সিনেমায় দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ইরফান বলেন, “আমি কখনওই ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না। আমি বর্তমানের কাজটি উপভোগ করতে পছন্দ করি। ফারুকীর সঙ্গে পরবর্তীতে কাজ হবে কিনা জানি না, কিন্তু ‘ডুব’ আমার জন্য বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে।”
এদিকে ‘ডুব’ এর দেশীয় দুই অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও তিশা শুধু একটু করে একই সুরে বললেন, ছবিটিতে ইরফানের সঙ্গে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা ভালোই হবে। তিশা আরেকটু স্পষ্ট করে বললেন, ‘সম্ভবত এ ছবির মধ্য দিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক কোনও ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছি।’ এদিকে ছবির অন্যতম প্রযোজক আবদুল আজিজের এক প্রশ্নের জবাবে খানিক মজা করেই বলেন ইরফান খান বললেন, ‘আমি আপনার কোম্পানিতে কাজ করতে চাই, তাই এ ছবিতে সহ-প্রযোজক হয়েছি!’
‘ডুব’ কথার এ অনুষ্ঠানে মহরত আর গল্পের বাইরেও মজার একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। যেখানে ইরফান খান ও পার্নো মিত্র বাংলাদেশে আসার পর (১৬ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল) তিন দিনে বিভিন্ন লোকেশনে ঘুরে বেড়ানোর মজার চিত্র উঠে এসেছে।
‘ডুব- নো বেড অব রোজেস’ ছবির শ্যুটিং শুরুর আগেই ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ দেখিয়ে দিলেন এর নির্মাতা। সামনে না জানি আরও কত কী অপেক্ষা করছে, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মগজে। এমন বিস্ময় নিয়ে শুক্রবার প্রায় মধ্যরাতে ভাঙলো মনমুগ্ধকর ডুব-কথার আসর।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/ বাংলা ট্রিবিউন
/জেডএ/এমএম/