শেষ হলো ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। এ যেন স্মৃতি, সেলুলয়েড আর স্বপ্নের বিদায়।
অবিশ্বাস্য সব মুহূর্ত, বৈচিত্র্যময় চলচ্চিত্র এবং তারকাখচিত উপস্থিতির মধ্য দিয়ে ২৪ মে পর্দা নামলো এবারের উৎসবের। যার শুরু হয়েছিল ১৩ মে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় শহর কানে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই উৎসব শুধু চলচ্চিত্রপ্রেমীদের নয়, পুরো বিশ্বের নজর কাড়ে তার সৃজনশীলতা, গ্ল্যামার ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দিয়ে। সমাপ্তি দিনের লালগালিচা ছিল একদিকে আবেগময়, অন্যদিকে জাঁকজমকপূর্ণ। পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে স্বীকৃতি পেলো সেরা চলচ্চিত্রগুলো। পেয়েছেন নতুন ও অভিজ্ঞ নির্মাতারা তাদের কাঙ্ক্ষিত সম্মাননা। যার মধ্যে এবার নাম উঠেছে বাংলাদেশেরও।
এবারের উৎসবে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে তৈরি বহু চলচ্চিত্র জায়গা করে নেয় মূল প্রতিযোগিতাসহ নানা বিভাগে। পাম দ’র জয়ের দৌড়ে ছিল নানা দেশের শক্তিশালী চলচ্চিত্র, যা প্রমাণ করে বিশ্ব সিনেমা এখনও জীবন্ত, প্রতিবাদী এবং আবেগপূর্ণ।
তারকাদের উপস্থিতি, নির্মাতাদের কথামালা, সাংবাদিকদের বিশ্লেষণ, রাতের পার্টি ও সমুদ্রতীরের সান্ধ্য আড্ডা—সব মিলিয়ে কান আবারও প্রমাণ করেছে, এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র উৎসব নয়, বরং একটি শিল্প-সংস্কৃতির বিপুল অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশ থেকেও এবার ছিল উপস্থিতি—চিত্রগ্রাহক, সাংবাদিক ও কিছু নির্মাতার অংশগ্রহণ কান-অভিজ্ঞতায় যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা।
উৎসব শেষ হলেও রেখে গেছে অগণিত স্মৃতি, সিনেমার ভাষায় বলা শত শত গল্প এবং ভবিষ্যৎ চলচ্চিত্রের জন্য অনুপ্রেরণা। ছবি: প্রতিবেদক