নায়ক থেকে খলনায়ক: ছবিতে ৩০ বয়সে ৫০

ছবিতে ৩০ বয়সে ৫০। ছবি: সাজ্জাদ হোসেনচলচ্চিত্রের সঙ্গে টানা ৩০ বছরের জীবন মিশা শওদাগরের। ১৯৮৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পর এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন পুরান ঢাকার এই চিরতরুণ। পরীক্ষা শেষে নির্বাচিত হন নায়ক হিসেবে। ১৯৮৯ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে নায়ক মিশার অভিষেক। এরপর ‘অমরসঙ্গী’তেও একইরূপে। যদিও তার নায়ক হওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয় হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় দেখে। নায়ক থেকে হয়ে গেলেন খলনায়ক। ‘আশা ভালোবাসা’ খলনায়ক মিশার প্রথম ছবি।

এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ঢাকাই ছবির অনবদ্য এ অভিনেতাকে। আজ সোমবার তিনি বয়স বিচারে ৫০-এ পা রেখেছেন। না, বিশেষ কোনও উৎসব নয়- বরং অন্য আট-দশটা দিনের মতোই কর্মচঞ্চল। থেমে ছিলেন না আজও। এফডিসিতে ‘পাংকু জামাই’ ছবির শ্যুটিং করেছেন দিনভর। তার ভাষায়, ‘জন্মদিনেও শ্যুটিং করতে হচ্ছে। এটা সুখের অনুভূতি। আমৃত্যু শ্যুটিং করবো, এই স্বপ্নটাইতো দেখেছি ৩০ বছর আগে। আমি সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমার সঙ্গে সবার দোয়া-ভালোবাসা ছিল। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

মিশা সওদাগর। ছবি: সাজ্জাদ হোসেনমিশা জানান, গত বছর তার অভিনীত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘লাভ ম্যারেজ’, ‘ভালোবাসার গল্প’, ‘ব্ল্যাকমেইল’, ‘ব্ল্যাকমানি’, ‘ওয়ার্নিং’ ছবিগুলোতে অভিনয়ের জন্য বেশ সাড়া পেয়েছেন। নতুন বছরে খুব বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করবেন।

বর্তমানে সোহানুর রহমান সোহানের ‘অবলা নারী ওয়াও বেবী ওয়াও’, ছটকু আহমেদের ‘দলিল’, শাহ আলম মণ্ডলের ‘আপন মানুষ’, শাহনেওয়াজ সানুর ‘সুপার মডেল’, সাফিউদ্দিন সাফির ‘মিসডকল’, শামীম আহমেদ শামিমের ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’সহ বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করছেন মিশা। আর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে শামিম আহমেদ রনির ‘মেন্টাল’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘সম্রাট’, সাইফ চন্দনের ‘টার্গেট’সহ বেশকিছু ছবি।

প্রসঙ্গত, মিশা সওদাগর গেল ৩০ বছরে প্রায় ৮০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন।স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে মিশা সওদাগর। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

/এস/এমএম/