মাল্টিপ্লেক্সে শো বাড়লো সিয়াম আহমেদ এবং শবনম বুবলী অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমার। খবরটি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের ছবির সর্বাধিক ভাইব থাকলেও মুক্তির প্রথম মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের শো কম দেওয়া হয়েছিলো। জানিনা সেটা কি কারণে। এমনটি সিনেপ্লেক্সের সিমান্ত সম্ভার শাখায় বিশাল বড় বিলবোর্ড টাঙালেও সে শাখাতে কোনো শো রাখা হয়নি। কিন্তু আজ সীমান্ত সম্ভারের শাখাতে সকাল ১১টা ও বিকেল ৪টায় দুটি শো দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা ব্লকবাস্টারেও একটি শো বেড়েছে। মুক্তির একদিন পর ‘জংলি’র শো এবং হল বাড়ার খবরটি ‘জংলি’ টিমের জন্য আনন্দের।
বলা দরকার, ঈদের দিন (৩১ মার্চ) স্টার সিনেপ্লেক্সের উদাসীনতার অভিযোগ আনেন ‘জংলি’ সিনেমার প্রযোজক ও কলাকুশলীরা।
তারা দাবি করেন, ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছয়টি সিনেমার মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ শো বণ্টনের ক্ষেত্রে ‘জংলি’র ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখিয়েছেন। তাই ‘বরবাদ’-এর পর ‘দাগি’র সঙ্গে সমান সমান শো পাওয়ার কথা থাকলেও তারা অপেক্ষাকৃত কম আলোচনায় থাকা সিনেমা চক্করের চেয়েও কম শো দিয়েছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন।
সিনেমাটির সহ-প্রযোজক মুক্তার ইবনে রফিক ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, “প্রচারণায় এই ঈদের বাকি সব সিনেমার চাইতে এগিয়ে ছিল জংলি। এটা আমার কথা না, এটা যারা সিনেমা নিয়ে খোঁজ-খবর রাখেন, তাদের প্রত্যেকের কথা। যদি ডাটাসহ প্রমাণ দেখাতে হয়, দেখাতে পারব। একেকটা জমজমাট ম্যাটেরিয়াল, একেকটা প্রমোশনাল কন্টেন্টের কারণে জংলিকে বলা হচ্ছিল এবারের ঈদের ডার্কহর্স। এবার সবার আগে সিনেপ্লেক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ‘জংলি’ । সেখানে খোদ সিনেপ্লেক্সেই এমন পলিটিক্সের শিকার হতে হলো জংলিকে? কয়েকদিন আগে একটা পডকাস্টে বলেছিলাম, এদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাফিয়াদের দাপটে টেকা ভীষণ কঠিন। আমাদের মতো তরুণরা সব ধরণের সিন্ডিকেটের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজেরা একটা সিনেমা বানিয়ে ঈদে মুক্তি দিতে চাইছে, এটা সম্ভবত একটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট হয়ে গেছে। নাহলে কেন এই ইনজাস্টিস? কেন এই পলিটিক্স?”
উল্লেখ্য, ‘জংলি’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এম রাহিম। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও শবনম বুবলী। একটি বিশেষ চরিত্রে আছেন প্রার্থনা ফারদীন দীঘি।