লাইফ সাপোর্টে সুবীর নন্দী

সুবীর নন্দীদেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত থেকে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একই দিন রাত ১০টার দিকে তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকলে রাত ১১টার দিকে এই শিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

শিল্পীর ঘনিষ্ঠ স্বজন তৃপ্তি কর বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, রবিবার রাতে সুবীর নন্দীকে সিএমএইচের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। এরপর দ্রুত লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এই শিল্পীকে।

তৃপ্তি কর বলেন, ‌‘জরুরি বিভাগে আনার আগেই হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে (সুবীর নন্দী) আর ফেরানো যেতো না হয়তো। আমাদের সৌভাগ্য, তার আগেই হাসপাতালে আনা হয়েছে।’

লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হবে। এর আগে কিছু বলা যাবে না।

এদিকে সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী জানান, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সিলেটে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তারা। অনুষ্ঠান শেষ করে রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বাবা-মাকে নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন ট্রেনে। রাত ৯টা নাগাদ উত্তরার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার তৃপ্তি করের সহযোগিতায় ট্রেন থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন তার বাবা। ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করান তিনি। কিডনি ছাড়াও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। 

নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইছেন এখনও।

১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশ হয়। তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।

চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আর চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য সুবীর নন্দী পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।