‘ডটার অব দ্য নেশন’ খেতাব পাচ্ছেন লতা মঙ্গেশকর

লতা মঙ্গেশকরকিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ৯০তম জন্মদিন আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। ওইদিন তাকে ভারত সরকার ‘ডটার অব দ্য নেশন’ খেতাবে ভূষিত করবে। সাত দশকের ক্যারিয়ারে ভারতীয় সংগীত জগতে দৃষ্টান্ত ও অতুলনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মান পাচ্ছেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মেলোডি কুইনের গুণমুগ্ধ। তিনিই ‘ডটার অব দ্য নেশন’ প্রদান করবেন লতাকে। গীতিকার ও সিবিএফসি’র চেয়ারম্যান প্রসূণ জোশি এ উপলক্ষে একটি বিশেষ গান লিখেছেন।

লতা ইতোমধ্যে অসংখ্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন পেয়েছেন তিনি। ১৯৬৯ ও ১৯৯৯ সালে তাকে পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ খেতাকে ভূষিত করা হয়। ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। সবচেয়ে বেশি গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে ১৯৭৪ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠে তার নাম।

লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে গত ১৮ আগস্ট দেখা করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এদিকে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে লতা মঙ্গেশকের গান গেয়ে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া রানু মণ্ডলকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন লতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার নাম ও কাজের মাধ্যমে কারও ভালো হলে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। তবে আমার কিংবা কিশোরদা (কিশোর কুমার), রফি সাহেব (মোহাম্মদ রফি), মুকেশ ভাই ও আশার (আশা ভোঁসলে) গান গেয়ে স্বল্প সময় আলোচনায় আসা যায়। কিন্তু তা টেকে না।’

লতার এমন মন্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সমালোচনা করেছেন। অনেকের মন্তব্য, ‘রানুকে নিয়ে উদারতা দেখাতে পারতেন তিনি। তার উচিত ছিল, এমন দরিদ্র কিন্তু প্রতিভাবান শিল্পীকে সহায়তা করা।’