জিজ্ঞাসা ছিল, এবার থার্টিফাস্ট রাতে সোলস মাতাবে কোথায়? কক্সবাজার, পতেঙ্গা নাকি অন্য কোথাও? পার্থ বড়ুয়ার স্পষ্ট জবাব ছিল, ‘কোথাও না। বেকার থাকার সম্ভাবনা আছে।’ কথাটি এমন ভাবে বললেন, স্পষ্ট আভাস মিলল, ব্যান্ডের বর্তমান করুণ অবস্থার। মনগড়া ধরে নিতে পারবেন, কেউ বোধহয় এখন আর সোলস’কে গাইতে ডাকেই না! অথচ দেশের তিনটি ব্যস্ত ব্যান্ড তালিকার একটি হিসেবে ছিল সোলসের নাম।
হঠাৎ কেন এমন হলো? প্রশ্নটির পেছনের ‘প্রশ্ন’ ঠিকই অনুমান করতে পেরেছেন এই সংগীত-অভিনয় তারকা। বললেন, ‘অবাক হওয়ার কিছু নেই। থার্টিফাস্ট এর শো হাতে অনেক আছে। কিন্তু এখনও কাউকেই কথা দিইনি। কারণ, দুশ্চিন্তায় আছি শরীরে কুলাবে কিনা! শেষ পর্যন্ত কোথাও শো না করার সম্ভাববনা এখনও শতভাগ। দেখা যাক কি হয়। কারণ আগে শরীর পরে গান-টাকা-হাততালি।’
পাঠক-ভক্তদের বলে রাখা দরকার, পার্থ বড়ুয়া ক’দিন আগে টাইফয়েড অসুখে বিছানায় পড়েছিলেন। শুধু বিছানা নয়, টানা চারদিন হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছে। বাসায় ফিরেছেন সপ্তাহ খানেক হয়। শরীর থেকে এখনও টাইফয়েড বনাম অ্যান্টিবায়োটিকের ধকল কাটেনি সম্ভবত। সে জন্যই কী থার্টিফাস্ট-এর শো হাতে নিচ্ছেন না? জবাবটা ভিরমি খাওয়ার মতো ছিল। বললেন, ‘গিটার হাতে মঞ্চে উঠলে সব অসুখ উবে যায়। তখন অসুখ-শরীর বিষয় থাকে না। তাছাড়া টাইফয়েড কেটে গেছে এক সপ্তাহ হলো। এখন বেশ সুস্থ। অসুখ বিরতির পর চলছে হরদম প্র্যাকটিস।’
এমন মন্তব্য করেই সোলস এর সিডিউল খাতা উল্টে পার্থ শোনালেন যা, তা এমন- ২৪ ডিসেম্বর সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ২৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম শহর, ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১ ও ৩ জানুয়ারিতে দুটো কনসার্টই হবে কক্সবাজার।
একদমে সিডিউলটা ঝেড়ে দিয়ে পার্থ বড়ুয়ার পাল্টা প্রশ্ন ছিল, ‘এর পরেও কী ভাববেন- থার্টিফাস্ট নাইটে সোলস বেকার!’
/এমএম/